জাহিদুল হককে স্মরণ করেছে গীতিকবি সংঘ
সদ্যপ্রয়াত কবি ও গীতিকার জাহিদুল হককে স্মরণ করলো ‘গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ’। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সংগঠনটির মগবাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় গীতিকবিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন সংঘের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা।
শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সংঘের এ আজীবন সদস্য স্মরণে স্মৃতিচারণ করেন সভাপতি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।
আরও পড়ুন: কবি-গীতিকার জাহিদুল হক মারা গেছেন
সভাপতি শহীদ মাহমুদ জঙ্গীন স্মৃতিচারণায় উঠে আসে, জাহিদুল হকের সৃষ্টি গান ও কবিতা প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘জাহিদুল হক ভাই খুব বেশি গান লেখেননি। তবে যে কটি লিখেছেন সেগুলোর প্রায় সবগুলোই বাংলা গানের জন্য দরকারি। এটা ঠিক, তিনি যদি আরও বেশি গান লিখতেন, তাহলে আমাদের গানের ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হত। জাহিদ ভাই আমাদের সংগঠনের শুরু থেকে প্রতিটি সিদ্ধান্তে আর আয়োজনে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি আন্তরিকভাবেই চেয়েছেন, গীতিকবিদের এমন একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠুক। ব্যক্তিগতভাবে তো বটেই, সাংগঠনিককভাবেও আমরা জাহিদ ভাইকে স্মরণে রাখতে চাই নানান আয়োজনের মাধ্যমে।’
সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল বলেন, ‘জাহিদ ভাই ছিলেন আমাদের জন্য বটবৃক্ষের মতো। গান ও সাহিত্যের প্রতি শেষ পর্যন্ত তার যে লড়াই, সেটা চালিয়ে গেছেন। পুরো জীবনটা কাটিয়েছেন ভাই-বোনদের সঙ্গে নিয়ে। তিনি আমাদের চোখ পাথর করে এভাবে হুট করে চলে যাবেন, ভাবিনি।’
এদিকে সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘জাহিদ ভাই খুবই মৃদুভাষী আর সমৃদ্ধ একজন মানুষ ছিলেন। সাংগঠনিক যে কোনো কাজে কিংবা আয়োজনে, তিনি ছিলেন বরাবরই আন্তরিক। এর মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাহিদ ভাইয়ের মতো আরও অনেক গুণীজনকে হারিয়েছি আমরা। যেমন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, কে জি মোস্তফা, কাওসার আহমেদ চৌধুরী, তরুণ গীতিকবি ওমর ফারুক বিশাল, বর্ণ চক্রবর্তীদের। আমরা চাই সাংগঠনিক উদ্যোগেও এ মানুষগুলো আমাদের আলোচনায় থাকুক।’
‘গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ’র এই নির্বাহী সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন লিটন অধিকারী রিন্টু, বাপ্পী খান, দেলোয়ার আরজুদা শরফ, বাকীউল আলম, আহমেদ রিজভী, এনামুল কবির সুজন, জনি হক, জয় শাহরিয়ার, সীরাজুম মুনির, মাহমুদ মানজুর, রবিউল ইসলাম জীবন প্রমুখ।
জাহিদুল হক না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪। তার লেখা উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- ‘আমার এ দুটি চোখ’, ‘কথা দাও, কথাগুলো ফেরত দেবে না’, ‘স্বাধীনতা তুমি আমার বাড়িতে এসো’, ‘স্বপ্ন আমার কাজল পুকুর তুমি’, ‘যে দেশে বাতাস স্মৃতির স্পর্শে ভারী’, ‘কতো দিন পরে দেখা, ভালো আছো তো’, ‘আমি তোমার ভালোবাসার খাঁচায় ধরা দেবো’ ইত্যাদি।
এমএমএফ/জিকেএস