জাতির পিতার প্রতি ফেরদৌসের শ্রদ্ধা নিবেদন
এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। চলচ্চিত্রের নান্দনিক অভিনয়ের মতো প্রথমবার নির্বাচনের মাঠে নেমেও সবাইকে তিনি রীতিমতো চমকে দিয়েছেন। তিনি ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন করেছেন।
নির্বাচনের মাঠে নামার পর থেকেই তার সমার্থক ও ভক্তরা আশা করেছিলেন ফেরদৌস জয়ী হয়ে ফিররেন। তিনি সবার প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। এবার তিনি অভিনেতা আইনপ্রণেতার পরিচয়ে ভক্তদের মাঝে ফিরেছেন।
রাজনীতির মাঠের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ফেরদৌস। সেই সঙ্গে আনন্দিত তার ভক্ত-অনুরাগীরা। নির্বাচনের ফলফল ঘোষাণার পর থেকেই তিনি তার সহকর্মীদের কাছ থেকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় ভাসছেন।
নির্বাচনে জয় লাভের পর আজ (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এ নায়ক।
শ্রদ্ধা নিবেদনর সময় ফেরদৌসের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের নেতাকর্মীরা। এ সময় নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে ফেরদৌকে বরণ করে নেন। এরপর সবাইকে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ফেরদৌস।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় ফেরদৌসের সঙ্গে ছিলেন নায়ক রিয়াজ, অভিনেত্রী তারিন ও নিপুণ।
ফেরদৌস আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, আজ সকালটা শুরু করেছি বাবার কবর জেয়ারতের মাধ্যমে। আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য আমার নির্বাচনী এলাকার সব ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই।
রাজধানীর ধানমন্ডি, হাজারীবাগসহ আশপাশের এলাকা নিয়ে ঢাকা-১০ আসন। এ আসনে ফেরদৌস আহমেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কে এম শামসুল আলম (আম), জাতীয় পার্টির হাজি মো. শাহজাহান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোট) শাহরিয়ার ইফতেখার (ছড়ি) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. বাহারানে সুলতান বাহার (টেলিভিশন)। ফলাফলে দেখা গেছে, ফেরদৌস পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শামসুল আলম আম প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট। এ আসনে ভোট পড়েছে ২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিত্রনায়ক ফেরদৌস ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র ভুবনে যাত্রা শুরু করেন। সিনেমাটি ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া। এতে তার অসামান্য অভিনয় নৈপুণ্যতা দেশের আপামর মানুষের মনে জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন ব্যস্ততম নায়ক। চলচ্চিত্রে অমাসান্য অবদানের জন্য অনেক পুন্কারও লাভ করেন।
ফেরদৌসের বাংলাদেশ ও ভারত মিলিয়ে অভিনয়ের ২৫ বছরের অভিনয় জীবন। বলতে গেলে হঠাৎ করেই তার রাজনীতে প্রেবেশ। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে সারা দেশের বিভিন্ন নির্বাচনে জনসংযোগে অংশ নেন।
এমআই/এমএমএফ/এএসএম