এফডিসিতে শেষ শ্রদ্ধায় শহীদুল ইসলাম খোকন
শেষবারের মতো নিজের প্রিয় স্থান এফডিসি ঘুরে গেলেন সদ্য প্রয়াত বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন। সোমবার বিকেল ৪টায় তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় এফডিসির চত্বরে। সেখানে পরিচালক সমিতির সামনে তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এসময় খোকনকে শেষবারের মতো দেখতে আসেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, বন্ধু ও প্রিয়জনেরা। তারা ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান খোকনকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এছাড়াও ছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ফরিদুর রেজা সাগর, সোহেল রানা, কাজী হায়াৎ, আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা, আলমগীর, মুশফিকুর রহমান গুলজার, সোহনুর রহমান সোহান, রুবেল, আলীরাজ, জাকির হোসেন রাজু, সাদেক বাচ্চু, মিজু আহমেদ, ওমর সানী, ড্যানি, সাইমন, আরজুমান্দ আরা বকুল, মিশু চৌধুরীসহ অনেকে।
সম্মাননা শেষে এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবের সামনের চত্বরে তার দ্বিতীয় ও শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে শহীদুল ইসলাম খোকনের স্মৃতিচারণ করেন তার কাছের মানুষেরা।
জানাজা শেষে খোকনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উত্তরায়। সেখানে সিটি কর্পোরেশন কবরস্থানে সমাহিত করা হবে তাকে। এর আগে দুপুরে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টর মসজিদে শহীদুল ইসলাম খোকনের প্রথম জানাজা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে সোমবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন শহীদুল ইসলাম খোকন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন সন্তান ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে চলচ্চিত্রের এ নির্মাতার মৃত্যুর খবরে চলচ্চিত্রাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও পরিবেশক এবং শিল্পীসমিতি। শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতিও।
শহীদুল ইসলাম খোকনের প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘রক্তের বন্দি’। এরপর তিনি তৈরি করে করেন ‘লড়াকু’, ‘বীরপুরুষ’, ‘বজ্রমুষ্ঠি’, ‘বিপ্লব’, ‘অকর্মা’, ‘সতর্ক শয়তান’, ‘বিষদাঁত’, ‘টপ রংবাজ’, উত্থান পতন’ ‘ঘাতক’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘লাল সবুজ’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘ভণ্ড’ প্রভৃতি ব্যবসাসফল সিনেমা।
তার অধিকাংশ ছবির নায়ক ছিলেন রুবেল ও ভিলেন হিসেবে দেখা গেছে হুমায়ূন ফরীদিকে। এই তিনজনের জুটির ছবি মানেই ছিলো সুপারহিট।
এলএ