ফিলিস্তিনের পক্ষে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জোরালো অবস্থান
হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বিশ্ব মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সব সময় সরব থাকেন। এবার তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে তার জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: সুপারহিরো হওয়ার রহস্য জানালেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বুধবার (১ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে লেখেন, ‘প্রায় দুই দশক ধরে গাজা একটি উন্মুক্ত কারাগার। এ অঞ্চলটি দ্রুত গণকবরে পরিণত হচ্ছে। নিহতদের ৪০ শতাংশই নিষ্পাপ শিশু। একেকটা পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করা হচ্ছে।
জোলি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্ব তাকিয়ে দেখছে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের করুণ অবস্থা। বিশেষ করে শিশু, নারী ও পরিবারের সব সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। তাদেরকে খাবার, ওষুধ ও মানবিক ত্রাণ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এমন কী, অনেক দেশের সরকার এ সংঘাতে (ইসরায়েলকে) সক্রিয়ভাবে সহায়তা দিচ্ছে।’
View this post on Instagram
‘মানবিক অস্ত্রবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি আরোপের উদ্যোগ নস্যাৎ করে (ভেটোর মাধ্যমে) বিশ্ব নেতারা এসব অপরাধে (ইসরায়েলের) সহযোগীর ভূমিকা পালন করছেন’-এমনটাও লেখেন জোলি।
মার্কিন অভিনেত্রী ও পরিচালক অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অভিনয়ের পাশাপাশি মানবিক কাজে অংশ নেওয়ার জন্যও বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতি লাভ করেছেন। এ অভিনেত্রী ‘গার্ল, ইন্টারাপটেড’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ১৯৯৯ সালে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। এছাড়া তিনি কয়েবার গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড পান।
আরও পড়ুন: এক হচ্ছেন ব্রাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ২০০১ সালে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত হন। এ দায়িত্বের অংশ হিসেবে তিনি বেশ কয়েকটি তৃতীয় বিশ্বের দেশ ভ্রমণ করেছেন। সেসব দেশের বিভিন্ন সমস্যার কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন।
এমএমএফ/জিকেএস