এখনো বিয়ের প্রস্তাব পাইনি : মেহজাবিন
তারকা খ্যাতি যেন তার পিছু দৌঁড়ে বেড়ায়। তার নামের বিশেষণ তিনি নিজেই! বলছি রূপমাধুর্য ও অভিনয়গুণে অল্প সময়েই দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসা লাক্স তারকা মেহজাবিন চৌধুরীর কথা। এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী জীবনের বেশ কিছু প্রথম তথ্য নিয়ে মুখোমুখি হয়েছেন জাগো নিউজের বিনোদনের এই আয়োজন-
প্রথম স্কুল
আমার শৈশব-কৈশোর কেটেছে সুদূর ওমানে। সেখানকার রাজধানী মাসকটে ‘ইন্ডিয়ান স্কুলে’ আমি প্রথম ভর্তি হই। তখন আমার বয়স মাত্র সাত বছর। স্কুলে যাতায়াতের জন্য ট্রাসপোর্টের ব্যবস্থা ছিল। সেটার মাধ্যমে স্কুলে যাতায়াত করতাম।
প্রথম শিক্ষক
আমার জীবনে প্রথম শিক্ষিক হচ্ছে শিলা বেঞ্জাবিন। তিনি ইন্ডিয়ান স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। তবে আমার বাসায় ফ্যামিলি মেম্বাররাও আমার পড়ালেখার ব্যাপারে দেখভাল করতেন। কিন্তু শিলা ম্যাম আমাকে হাতে ধরে, কোলে নিয়ে লেখা শিখিয়েছেন।
প্রথম পড়া বই
প্রথম পড়া বইয়ের নাম মনে নেই কিন্তু হ্যারি পটার সিরিজের সব বই পড়েছি। এটা দশ বছর আগে পড়ে শেষ করেছি। তাছাড়া আরো কিছু বইয়ের সিরিজ পড়েছি। কিন্তু হ্যারি পটার সিরিজের বইগুলো কেন জানি আজো মনের মধ্যে গেঁথে আছে।
প্রথম চলচ্চিত্র
উইলিয়াম ওয়াইলারের ‘রোমান হলিডে’ আমার প্রথম দেখা চলচ্চিত্র। ১৯৫৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মার্কিন এই ছবিটি ছিলো রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের। বেশ লেগেছিলো। এখনও এই ছবিটি আমার দেখা সেরা চলচ্চিত্রগুলোর একটি। আর জীবনের প্রথম দেখা ছবি বলে একটা বাড়তি ভালো লাগা তো আছেই।
প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা
আমার বয়স তখন সবে মাত্র তের বছর। ওমানে থাকাকালীন সেখানকার একটা জুয়েলারির বিজ্ঞাপনের জন্য ফটোশুট করেছিলাম। ওটাই ছিল আমার জীবনে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো। খুব ভালো লাগা কাজ করছিল নিজের মধ্যে। মাঝেমধ্যে মনে পড়লে নিজে নিজেই হেসে উঠি আর বলি-ইশ, তখন কত্ত ছোট ছিলাম আমি!
প্রথম পারিশ্রমিক
ওই জুয়েলারির বিজ্ঞাপনে কাজ করেই প্রথম পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম। অ্যামাউন্টটা ছিল পনের রিয়াল।
প্রথম প্রেম
বলতে কোনো সংকোচ নেই যে টাইটানিক ছবি দেখে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। তাছাড়া ছোট বেলায় মানুষের অনেক প্রেম থাকে আবার অনেকেই একাধিক প্রেমে নাকানিচুবানি খায়। সব প্রেমের কথা কারো মনে থাকে নাকি?
প্রথম বিয়ের প্রস্তাব
হাহাহা... আমি এখনো বিয়ের প্রস্তব পাইনি। আশা করি প্রথমটাই শেষ প্রস্তাব হবে।
এনই/এলএ/এমএস