ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

তনু হত্যার বিচার দাবি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের

প্রকাশিত: ০২:২৪ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৬

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের মেধাবী ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের পর হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। এসময় তারা আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করা হলে আগামী ২৯ মার্চ সারাদেশে পুনরায় বিক্ষোভ করবে সাংস্কৃতিককর্মীদের সংগঠনটি।

বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এদিকে, একই দাবিতে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চ ও ঢাবি ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে তনু হত্যার সাথে জড়িতদের আইনের আওয়াতায় এনে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে এ ধরণের ধর্ষণ হত্যার ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু তারপরও রাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতার কারণে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে। কিন্তু এমনটা আর চলতে দেয়া যাবে না।

রাষ্ট্রের মানুষের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থতার জন্য সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে। সে যত বড় ব্যক্তিই হোক না কেন। গণতন্ত্রের কথা, আইনের কথা শুধু দেশের সংবিধানেই লেখা আছে। কিন্তু বাস্তবজীবনে এর কোনো প্রয়োগ নেই। যার কারণে প্রতিনিয়ত হত্যা আর ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এধরণের ঘটনা কেন ঘটলো তার জন্য ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডকে জবাবদিহি করতে হবে।

এসময় তারা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের যেসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে সেগুলোর প্রত্যেকটিতে সাংস্কৃতিক কর্মীরা তনু হত্যার বিচারের দাবি উত্থাপন করবেন। এছাড়া আগামী ২৭ মার্চ বিশ্ব নাট্য দিবসের শ্লোগান হবে ‘তনু হত্যার বিচার চাই’। এর মাঝেও বিচার না হলে ২৯ মার্চ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, জোটের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মীরা।

এমএইচ/এসএইচএস/এবিএস