ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

সোহানুর রহমান সোহানকে মাফ করে দিলেন শাবনূর

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৩৫ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঢালিউডের প্রখ্যাত নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান অনন্তলোকে চলে গেছেন বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর)। গুণী এই চলচ্চিত্র নির্মাতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পরিচালক-প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী শোবিজ ভুবনের প্রত্যেকেই।

সবার পাশাপাশি সোহানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকাই সিনেমার একসময়ের দর্শকনন্দিত নায়িকা শাবনূর। তিনি শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: শেষ দেখা দেখতে মাঝরাতে সোহানের বাসায় শাকিব খান

দীর্ঘ স্ট্যাটাসে শাবনূর লেখেন, ‘আহা জীবন! অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হচ্ছে যে বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান আর আমাদের মাঝে নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বলা দরকার, গতকাল সোহানুর রহমান সোহানের স্ত্রীও স্ট্রোক করে মারা গেছেন।’

স্ট্যাটাস্টে শাবনূর পুরোনো একটি প্রসঙ্গ টেনে লেখেন, ‘সোহান আঙ্কেল যাবার আগে আমার বিরুদ্ধে মিডিয়াতে কিছু উল্টা-পাল্টা ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গেলেন। আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন ও আমার সম্মানহানি করে গেলেন। অনেকেই তার কটুকথার বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দিতে বলেছিলেন। আমি চাইলেই মিডিয়ায় তার এই মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদ করতে পারতাম।’

আরও পড়ুন: স্ত্রীর কবরের পাশেই শায়িত হলেন পরিচালক সোহান

এ প্রসঙ্গ নিয়ে শাবনূর আরও লেখেন, ‘এর আগেও উনি কোনো এক ইন্টারভিউতে আমার বিরুদ্ধে এরকম বাজে মন্তব্য করেছিলেন। তখনো আমি তার অপবাদের বিরুদ্ধে কোনো পাল্টা জবাব দেইনি। সোহান আঙ্কেল অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ, আমার পিতৃতুল্য। আমি কোনো অন্যায় করলে উনি আমাকে শাসন করতে পারতেন। এইতো কিছুদিন আগেও তার সাথে আমার ফোনে আলাপ হয়েছিল।’

শাবনূর আরও লেখেন, ‘তখন তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আঙ্কেল আপনি কি কোন কারণে আমার ওপর রাগ করে আছেন? আপনি যে আমার বিরুদ্ধে মিডিয়ায় উল্টা-পাল্টা কথা বলতেছেন। তিনি তখন বললেন, তুই আমাদের ইন্ডাস্ট্রির মেয়ে, আমার মেয়ের মতো, তোর ওপর কেন রাগ করতে যাবো। আর আমিতো তোর বিরুদ্ধে কোনো বাজে কথা বলিনি। এরপরে আমার বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে তিনি আবারও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গেলেন।’

সোহানুর রহমান সোহানকে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রসঙ্গে শাবনূর লেখেন, ‘কিন্তু আমার একটাই দুঃখ আমি জানতে পারলাম না উনি কেন বা কার চক্রান্তে প্রভাবিত হয়ে আমার পেছনে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। যাইহোক, আমি সবার উদ্দেশ্যে একটা কথা বলতে চাই, ভাই জীবনটা খুবই ছোট্ট। এত দাঙ্গা-ফ্যাসাদ করে কি লাভ? একে অন্যের বিরুদ্ধে না লেগে আসুন আমরা সবাই মিলেমিশে থাকি। গন্তব্যতো একটাই, সবাইকে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হবে। যেহেতু ক্ষমা একটি মহৎ গুণ, তাই আমি উনাকে মাফ করে দিলাম। আমি আঙ্কেল ও তার স্ত্রীর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’

এমএমএফ/এএসএম

আরও পড়ুন