তনু হত্যার প্রতিবাদে বিকেলে শাহবাগে বিক্ষোভ
কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এবং অবিলম্বে খুনীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে নাট্যকর্মী, চলচ্চিত্রকর্মী, কবি-সাহিত্যিকসহ প্রগতিশীল তরুণেরা।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকেল ৫টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
নাট্যকর্মী ও সাংবাদিক পাভেল রহমান বলেছেন, ‘এই হত্যার প্রতিবাদ যদি না হয় তবে মঞ্চে আলো জ্বেলে ন্যায়ের কথা বলা মিথ্যা। মানুষকে সভ্যতার স্বপ্ন দেখানো মিথ্যা। রাস্তায় আসুন, প্রতিবাদ করুন। এই ঘৃণিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জোটবদ্ধ হোন। প্রতিবাদ যেন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। ধর্ষক-খুনিদের জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশ তাদের জন্য নয়।’ অবিলম্বে ধর্ষক ও খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, রোববার রাতে (২০ মার্চ) ময়নামতি সেনানিবাসের অলিপুর এলাকায় একটি কালভার্টের পাশের জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ হত্যার ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেছেন, ‘আমি ঘটনাস্থল গিয়েছি। সোহাগীর মরদেহ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।’
তনু কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে। তার বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে। তনু একজন সংস্কৃতিকর্মী ছিল। নাটক, নৃত্য ও আবৃত্তি এই তিন মাধ্যমেই ছিল তার অল্প বিস্তর যাতায়াত। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের অন্তর্ভুক্ত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সে ছিল একজন নিয়মিত সদস্য ও কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। অসচ্ছল পরিবারে পিতা মাতার বোঝা না হয়ে ছাত্রছাত্রী পড়িয়ে নিজের খরচ চালাত প্রাণবন্ত উদ্যমী সোহাগী জাহান তনু।
তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে কুমিল্লা সেনানিবাসে ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে।
এলএ/পিআর