ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

দিতি ছিলেন দেশপ্রেমিক অভিনেত্রী : সংস্কৃতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:৪৫ এএম, ২১ মার্চ ২০১৬

নব্বই দশকে ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পারভিন সুলতানা দিতি। গতকাল রোববার, ২০ মার্চ বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংস্কৃতি অঙ্গনসহ সারা দেশেই।

শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিতিকে শেষ বিদায় জানাতে আজ সোমবার সকাল ১০টায় এফডিসিতে হাজির হয়েছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

জানাজায় অংশ নেয়ার আগে তিনি মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। দিতিকে নিয়ে নিজের বক্তব্যে বললেন অনেক কথা। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘নব্বই দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালী দিন ছিলো। সেই সময়ে গালে তিল পড়া এক নারী মোহনীয় হাসিতে বাজিমাত করেছিলেন বাংলাদেশ। সেই নারী দিতি। ক্রমেই তিনি অভিনয়ে পরিণত হয়েছিলেন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন শীর্ষ চলচ্চিত্রাভিনেত্রী হিসেবে। দিতি আজ আমাদের মাঝে নেই। মেনে নেয়াটা কষ্টের। দিতিকে বাঁচানোর সব চেষ্টাই করা হয়েছে। তবু মৃত্যুর অমোঘ বিধান মানতে হবেই।  হারানোর শোককে কাজে লাগাতে হবে অনুপ্রেরণায়। অনেক কিছুই দিয়েছেন তিনি আমাদের চলচ্চিত্রকে। সেই প্রাপ্তি স্বীকার করতে হবে। তাকে স্মরণ রাখতে হবে। প্রজন্মের কাছে তার কর্মজীবন তুলে ধরতে হবে।’

Nur Saheb মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো, দিতির সঙ্গে অভিনয় করার। টিভি নাটকে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। এছাড়াও বহুবার দেখা হয়েছে, আলাপ হয়েছে। সেই সুবাদে অনুধাবন করেছি দিতি ছিলেন খুব সহজ-সরল একজন মানুষ। মিষ্টভাষী। হেসে হেসে কথা বলতেন। দিতির আরো একটি চমৎকার গুণ তিনি খাঁটি দেশপ্রেমিক ছিলেন। অভিনয়কে তিনি যেমন হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন তেমনি হৃদয়ের আরেক প্রান্তে ধারণ করেছিলেন বাংলাদেশ। তিনি প্রায় সময়ই মুক্তিযুদ্ধের কথা, বঙ্গবন্ধুর কথা বলতেন। দেশ ও দেশের স্বাধীনতা নিয়ে তার মধ্যে একটা গর্ব কাজ করতো। একবার বলেছিলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখে যেতে চান। আজকাল অনেকেই এসব বিষয় এড়িয়ে চলেন। কিন্তু দিতির মধ্যে সততা ছিলো। তাই দিতির প্রয়াণে আমরা একজন দেশপ্রেমিক অভিনয়শিল্পীকে হারালাম।’

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘দিতির চলে যাওয়া আমাদের চলচ্চিত্র তো বটেই, সমগ্র অভিনয়ের জন্যই বিরাট ক্ষতি। আমি দিতির ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কাছে শুনেছি, অভিনয়ের প্রতি দিতির ভালোবাসা ছিলো সন্তানদের চাইতেও বেশি। তারা কেঁদে কেঁদে বলছিলো অনেক অভিমানের কথা। আমি তাদের যতটুকু পেরেছি সান্তনা দিয়েছি। আপনারা যারা দিতির কাছের মানুষ ছিলেন তারা ছেলেমেয়ে দু’টোর পাশে থাকবেন।’

সবশেষে মন্ত্রী দিতির বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং এফডিসিতে অনুষ্ঠিত তার দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন।

এলএ

আরও পড়ুন