ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

সব শ্রেণির দর্শকের ছবি ভোলা তো যায় না তারে

প্রকাশিত: ০৮:৫১ এএম, ১৭ মার্চ ২০১৬

ঢাকাই চলচ্চিত্রের মোস্ট ট্যালেন্টেড হিরো নিরব ও সম্ভাবনাময়ী চিত্রনায়িকা তানহা তাসনিয়া অভিনীত ‘ভোলা তো যায় না তারে’ ছবিটি আগামীকাল ১৮ মার্চ সারাদেশব্যাপি মুক্তি পাচ্ছে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন রফিক শিকদার। ছবিটিতে নিরব-তানহা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন হিল্লোল, সুব্রত, মাসুম আজিজ, একা, লীনা আহমেদ। এর বিভিন্ন গানে কন্ঠ দিয়েছেন আরফিন রুমি, বেলাল খান, ইমরান, লিজা প্রমুখ।

ছবিটির প্রযোজনা করেছে ধলেশ্বরী ফিল্মস এবং পরিবেশনায় থাকছে টিওটি ফিল্মস। চলতি বছরে এই ছবিটিই হতে যাচ্ছে নিরবের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র। আর এই ছবি দিয়েই চলচ্চিত্রে অভিষেক হচ্ছে তানহা তাসনিয়ার। ছবিতে অভিনয় করা, অভিজ্ঞতা ও সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে নিরব-তানহা কথা বললেন জাগো নিউজের বিনোদন বিভাগে-

জাগো নিউজ : ছবির নাম `ভোলা তো যায় না তারে` কেন?
নিরব : প্রথমত বলতে চাই গল্পের প্রয়োজনে ছবির নাম রাখা হয়েছে `ভোলা তো যায় না তারে`। আর দর্শক ছবিটি দেখলেই বুঝতে পারবেন নামের সার্থকতা কতটুকু।
তানহা : ছবির নাম নির্ধারণ করেছিলেন এ ছবির পরিচালক রফিক শিকদার। এ ছবির গল্পের স্রষ্টা তিনি। তার ‘পদ্মাপাড়ের পার্বতী’ উপন্যাসের গল্প থেকেই তিনি এ ছবিটি নির্মাণ করেছেন। তাছাড়া গল্পের সঙ্গে এই নামটি পুরোপুরি অ্যাপ্রোপিয়েট বলেই ছবিটির নাম ভোলা তো যায় না তারে।  

জাগো নিউজ : ছবির টার্গেট অডিয়েন্স কারা?
নিরব : ভালো প্রশ্ন। সব শ্রেণির দর্শকের জন্য ভোলা তো যায় না তারে ছবিটি। তবে শিক্ষিত, ভদ্র, রুচিশীল দর্শকরা ছবিটি বেশি গ্রহণ করবেন বলে আমি মনে করি। তাছাড়া যারা একটু রোমান্টিক তাদের জন্য ছবিতে একটা মেসেজও আছে। এটা এখন বলা যাবে না। দর্শক হলে গিয়ে ছবিটি দেখলেই বুঝতে পারবেন।
তানহা : আমি বলবো কাপলরা যেন ছবিটি ভালোভাবে দেখেন। কারণ ছবিতে নিরেট ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। তাছাড়া নিরবের কথার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেই বলতে চাই ছবিটি সব শ্রেণির দর্শকদের দেখা উচিত।

জাগো নিউজ : সব শ্রেণির দর্শক কেন দেখবেন ছবিটি?

নিরব : চলচ্চিত্র মানুষের মনে বিনোদনের খোরাক যোগায়। মানুষ পূর্ণ বিনোদনের আশায় পরিবার-বন্ধু নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখতে যান। তারা ছবিতে মৌলিক গল্প খোঁজেন যেখানে নিজেকে, নিজের কাছের মানুষদের মিলিয়ে নেয়া যায়। তারা নির্মাণের মুন্সিয়ানা খোঁজেন, ভালো অভিনয় দেখতে চান, শ্রুতিমধুর গানের সাথে নান্দনিক নাচ উপভোগ করতে চান। আমি এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি এসব কিছুই রয়েছে ভোলা তো যায় না তারে ছবিতে। বিনোদনের পুরো প্যাকেজ ছবিটি। সেকারণে দর্শক ছবিটি দেখবেন।
তানহা : এটি আমার প্রথম চলচ্চিত্র। শুটিং করতে গিয়ে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছিলাম। পরে পরিচালক শিকদার ভাই আমাকে অনেক সাহায্য করেছিলেন। তবে চেষ্টা করেছি ঠিকভাবে কাজটি করতে। এক্ষেত্রে আমার নায়ক নিরবসহ এই ছবির সাথে জড়িত প্রতিটি মানুষ অনেক হেল্পফুল ছিলেন। সবার কাছেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আর সব দর্শক দেখবেন এজন্য, কারণ মানুষ সবসময়ই ভালো কিছু দেখতে চায়, ভিন্ন কিছুর স্বাদ নিতে চায়, নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চার করতে চায়। ছবিপ্রেমীরা যাবতীয় ভালো লাগার উপকরণ এখানে পাবেন। সেজন্য ছবিটি দেখবেন।

vola-to-jay-na-tare

জাগো নিউজ : তানহা বলছিলেন বেকায়দায় পড়েছিলেন! সেটা কেমন?
তানহা : ২০১৪ সালে শীতের রাতে আমরা মানিকগঞ্জে শুটিং করছিলাম। তখন মধ্যরাত। ২টার কাছাকাছি সময়। সেসময় পরিচালক বললেন এখন পুকুরে  নেমে একটা শর্ট দিতে হবে। শুনে মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে গিয়েছিল। কারণ একে তো হাড় কাঁপানো শীতের রাত তার উপর আমি সাঁতারে খুব বেশি ভালো ছিলাম না। কিন্তু উপায় ছিল না। ওই পরিস্থিতে পানিতে নেমে শুটিং করেছি। এসময় নিরবও আমার সঙ্গে ছিল।

জাগো নিউজ : আর প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
তানহা : প্রথম দিন শুটিং করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে। একদিকে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো, অন্যদিকে আবার ছেলেদের হলে শুটিং। বুঝতেই পারছেন মানসিক চাপ কোন পর্যায়ে ছিল! শুটিংয়ের সময় খুব কাছ থেকে ছেলেদের মন্তব্য শুনতে পাচ্ছি। নানা ধরনের কথা। ইতিবাচক আর নেতিবাচক দুই-ই। তখন আরও ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।


জাগো নিউজ : ছবিতে দু`জনের চরিত্রের বিশেষত্ব জানতে চাই।
নিরব : ছবিতে আমি রুদ্র চরিত্রে অভিনয় করছি। এটি একদিকে চরম রোমান্টিক আবার স্যাডিষ্ট চরিত্রেও। যার জন্য তার প্রেমিকা নীলাঞ্জনা যখন তাকে ছেড়ে যায় তখন সে রীতিমত পাগল হয়ে যায়। এখানে একই সঙ্গে এমন দুই চরিত্রে অভিনয় করেছি। এবং অভিনয়েও চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ সামর্থ দিয়ে কাজ করতে।
তানহা: এখানে আমি নীলাঞ্জনা। রক্ষণশীল হিন্দু পরিবারের মেয়ে। পড়াশোনা করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সহপাঠী এক মুসলমান বন্ধুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একসময় তাদের প্রেমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কিছু বিশ্বাস। সেই বিশ্বাস থেকে যখন সরে আসার সুযোগ হয়, তখনই ছেলেটির দেহে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর তো কিছু বলতে চাইনা। জানতে চাইলে বলতে চাই হলে গিয়ে ছবিটি দেখুন।

জাগো নিউজ : এবার জানতে চাইবো দুজনের সঙ্গে দুজনার কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
নিরব : অভিজ্ঞতা ভালো। তানহা নতুন হলেও সে ভালো কাজ করেছে। কাজ শেখার আগ্রহটাও তার মধ্যে দেখা যায়। তাছাড়া আমি খেয়াল করেছি চরিত্রের এক্সপ্রেশন নিয়ে স্টাডি করে। সব মিলিয়ে আমাদের কেমিস্ট্রি জমজমাট।
তানহা : অনেক ভালো। নিরব আমার ভালো বন্ধু। ওর হাত ধরেই আমি চলচ্চিত্রে এসেছি। আমি মনে করি তার সঙ্গে জুটি বেঁধে সাবলীল অভিনয় করতে পেরেছি। ও অনেক সাহায্য করেছে ছবিতে। বন্ধুর কাছে বন্ধু এমনটাই তো আশা করে। তাই না?

জাগো নিউজ : নতুন করে আর কোনো ছবিতে কাজ করছেন?
নিরব : `গেম রিটার্নস` ছবিটির কাজ করছি। বিরতি ছাড়াই টানা কাজ করেছি। এখন শুধু বাকি আছে গানগুলো। আগামী মাসেই দেশের বাইরে এর দৃশ্যধারণ করা হবে। এছাড়া আরো চার-পাঁচটি ছবির কাজ কিছুটা বাকি আছে।
তানহা: `জানবাজ` নামে একটি ছবির কাজ শুরু করবো খুব তাড়াতাড়ি। অন্যদিকে শাকিব খানের বিপরীতে `ধূমকেতু` ছবিটি মুক্তির মিছিলে আছে। তাছাড়া ছবির অফার অনেক আসে কিন্তু সেসব নিজের মনের সঙ্গে ম্যাচ করেনা। কিছু বিজ্ঞাপন এবং ফটোশুট এসব নিয়েই আছি।

জাগো নিউজ : দর্শকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন?
নিরব : অবশ্যই বলবো। দর্শকদের জন্যই সব আয়োজন। তারা যদি ছবিটা হলে গিয়ে দেখেন তবে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে। তাছাড়া `ভোলা তো যায় না তারে` ছবিটি আমার এ বছরের মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবিটি। আশা করি সবাই ছবি দেখবেন। সকলের প্রতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
তানহা : দর্শকদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই একজন নতুন হিসেবে আপনাদের ভালোবাসার আঙ্গিনা চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করলাম `ভোলা তো যায় না তারে` ছবিটি দিয়ে। অনেক পরিশ্রম করে ছবিটিতে কাজ করেছি। প্লিজ সবাই ছবিটি হলে দেখতে আসুন। হতাশ হবেন না। সবাইকে প্রিয়জন নিয়ে হলে এসে ছবিটি দেখার নিমন্ত্রণ জানাই।

এনই/এইচএন/আরআইপি