ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

দর্শক বুবলী-নিরবের রসায়ন ভীষণ উপভোগ করছে: নিরব

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২৩

বিনোদন জগতের অনেকগুলো ধাপ পার হয়ে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেছেন অভিনেতা নিরব। এবার ঈদে মুক্তি পেয়েছে ক্যাসিনো ও দেশের অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাচারের প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত ‘ক্যাসিনো’ সিনেমা। সম্প্রতি তার সঙ্গে আলাপ হয় জাগো নিউজের ‘জাগো তারকা’র বিশেষ পর্বে। সেখানেই জানান ‘ক্যাসিনো’সহ তার তারকা জীবনের বিভিন্ন গল্প।

জাগো নিউজ: শুরুতেই ‘ক্যাসিনো’ মুভি সম্পর্কে জানতে চাই?

নিরব: দর্শক ‘ক্যাসিনো’ মুভি পছন্দ করার পেছনে প্রথম কারণ হচ্ছে নামটা। দর্শক যারা সবসময় হলে গিয়ে মুভি দেখেন তারা সিনেমার নাম শুনেই সিনেমা দেখার ইচ্ছা পোষণ করে। সিনেমার নাম যদি আকর্ষণীয় বা সিনেমাটিক ধাঁচের হয় তাহলে দর্শক সেই মুভি দেখতে পছন্দ করবে। সেদিক থেকে ক্যাসিনো সিনেমার নামের কারণেই দর্শক সিনেমাটি দেখবে। ক্যাসিনো, মানি লন্ডারিং, ডলার ক্রাইসিস এগুলোই মূলত ক্যাসিনোর গল্প। আমাদের দেশে ক্যাসিনো, মানি লন্ডারিংয়ের মতো অবৈধ কাজগুলোর জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তেমনি কিছু অভিযান দেখানো হয়েছে ক্যাসিনো মুভিতে।

আরও পড়ুন: নিরব-মিথিলা জুটির প্রথম সিনেমার ট্রেলার প্রকাশ

জাগো নিউজ: ক্যাসিনোতে আপনার চরিত্র কেমন?

নিরব: ডিবি অফিসার মূলত আমার চরিত্র। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ক্যাসিনোগুলোর ইনভেস্টিগেশনের জন্য সরকারি প্রশাসনিক কাজগুলো আমার চরিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে।

জাগো নিউজ: ‘ক্যাসিনো’র সঙ্গে যুক্ত হলেন কিভাবে?

নিরব: ‘ক্যাসিনো’র সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটি গল্প রয়েছ। এ সিনেমার প্রডিউসার রাজীব ভাই একদিন গল্প করতে করতে বললেন ‘ক্যাসিনো’ নামে একটি সিনেমা বানাবো। ২০১৮ সালের দিকে আমেরিকা গিয়েছিলাম এবং নিউইয়র্কে একদিন রাতে সেখানকার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ক্যাসিনোতে গিয়েছিলাম। তার আগে এটার কথা শুধু শুনেছি। ক্যাসিনো সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না এর আগে। রাজীব ভাই অফার করলে আমিও হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম এই সিনেমার কাজ করার জন্য।

আরও পড়ুন: স্ত্রীর হাতে বানানো কেক দিয়ে জন্মদিন পালন করলাম : নিরব

জাগো নিউজ: বুবলীর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

নিরব: বুবলীর সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। তাছাড়া শাকিব খানের বাহিরে এসে বুবলীরও এটাই প্রথম সিনেমা। গল্পে যেমন তার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা, একইভাবে বাস্তবেও তার সঙ্গে সিনেমায় এসে প্রথম সাক্ষাৎ। তার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি খুব কমফোর্টেবল। বুবলী খুব আউটস্ট্যান্ডিং। একই সঙ্গে ভীষণ ভীষণ কো-অপারেটিভ।

জাগো নিউজ: শাকিবের বাহিরে নিরবের সঙ্গে বুবলীর ক্যামিস্ট্রিটা কেমন জমে উঠবে?

নিরব: খুবই ভালো হবে। দর্শক যখন গল্পে ঢুকে যাবে তখন দুজনের ক্যামিস্ট্রিটাকে খুব এনজয় করবে। দর্শকদের একটা সময় নড়েচড়ে বসতে হবে। আমি এক কথায় বলতে পারি- এখন দর্শক বুবলী-নিরবের রসায়ন ভীষণ উপভোগ করছে।

আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধলেন নিরব-সুনেরাহ

জাগো নিউজ: এ সিনেমার শুটিংয়ের সময় ঘটে যাওয়া কিছু মজার মুহূর্ত সম্পর্কে যদি বলতেন।

নিরব: প্রথম ক্যাসিনো না বুঝে খেলেছি। এবারও সেটে গিয়ে ক্যাসিনো না বুঝেই খেলেছি। এটা অনেক মজার ব্যাপার। যদিও সিনেমাতে আমি ক্যাসিনো খেলিনি। আমার ক্যারেক্টর ছিল বোল্ড যেহেতু সরকারি কর্মকর্তা ছিলাম।

জাগো নিউজ: সম্প্রতি আপনার ‘ফিরে দেখা’ মুভি মুক্তি পেয়েছে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন দর্শকদের কাছ থেকে?

নিরব: ১৯৭১ সালের গল্প ছিল ‘ফিরে দেখা’। ৫২ বছর আগের একটি গল্প তুলে ধরার এই প্রচেষ্টা নিশ্চয়ই খুব ভালো ছিল। রোজিন আপু, কাঞ্চন ভাই, স্পর্শিয়া- সবাই, আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি কাজটি ভালো করার জন্য। রেসপন্স খুব ভালো। আমার ও স্পর্শিয়ার গানটিতে সবাই অ্যাপ্রিসিয়েট করেছে। এই বাজেটের মধ্যে ৫২ বছর পূর্বের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা অনেক কঠিন ছিল। তবুও সব কিছুই ঠিক ছিল।

জাগো নিউজ: রোজিনা আপু, কাঞ্চন ভাই, স্পর্শিয়া এদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

নিরব: রোজিনা আপুর মতো এতো বড় মাপের মানুষকে সহ-অভিনেত্রী হিসেবে পাওয়া সত্যি বড় ব্যাপার। গল্পে তিনি আমার বোন ছিলেন। তাছাড়া রোজিনা আপু ডিরেক্টর হিসেবেও বেস্ট ছিলেন। কাঞ্চন ভাইয়ের মতো বড় অভিনেতার সঙ্গে কাজ করা সৌভাগ্যের। স্পর্শীয়ার সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। ওর সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় থাকায় কাজগুলো সহজে করতে পেরেছি। দুজনের বোঝাপারাটা ভালো ছিল।

আরও পড়ুন: কলকাতায় ব্ল্যাকে টিকিট কিনে ‘পাঠান’ দেখে উচ্ছ্বসিত নিরব

জাগো নিউজ: এখন কোন কোন সিনেমার কাজ আপনার হাতে রয়েছে?

নিরব: সাইফ চন্দন পরিচালিত ‘কয়লা’ ও ‘দুনিয়া’ সিনেমার কাজ আমার হাতে আছে এই মুহূর্তে। পাশাপাশি অনন্য মানুনের বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার একটি সিনেমার কাজও হাতে রয়েছে।

জাগো নিউজ: ওপার বাংলা এবং এপার বাংলার কাজের মধ্যে পার্থক্য কেমন?

নিরব: শুটিং এ কোনো পার্থক্য নেই। বাজেটের ক্ষেত্রেই আসল পার্থক্য।

দর্শক বুবলী-নিরবের রসায়ন ভীষণ উপভোগ করছে: নিরব

জাগো নিউজ: আপনি মডেলিং, নাটক, সিনেমা সবই করেছেন। কোন জায়গাটিতে আপনি কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?

নিরব: আমি যেহেতু মডেলিং দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম, তাই মডেলিংয়ে জায়গাটায় আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তবে যেহেতু অনেকগুলো স্টেপ পার হয়ে সিনেমাতে চলে এসেছি। তাই এখন সিনেমাতে নিজের সেরাটা দেওয়ার করার চেষ্টা করছি। আরও ভালো অভিনয়, আরও ভালো সিনেমা, ভালো প্রডিউসার, ভালো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করতে চাই। দর্শকদের জন্য ভালো কাজ করতে চাই।

জাগো নিউজ: মডেলিং থেকে এখন নায়ক নিরব হয়েছেন। কেন মনে হলো আমিও নায়ক হতে চাই?

নিরব: আমি চাইনি তবে যখন বাংলালিংকের টিভিসি আসলো তখন অনেক অফার আসতে থাকে। তখন হঠাৎ করেই মনে হলো কেন করবো না। সেই থেকে শুরু৷

জাগো নিউজ: মিডিয়াতে কি প্রেম করা হয়েছে?
নিরব: দর্শক এটা জানে।

জাগো নিউজ: পরিবারে কে কে আছে?

নিরব: আমার বৌ ও দুই মেয়ে আছে। তাদের নিয়েই আমার সুখের পৃথিবী।

জাগো নিউজ: আপনার অভিনয়ের জন্য থেকে কেমন সাপোর্ট পান?

নিরব: আমার মা আমার কাজের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সমর্থন দিতেন। এখন পরিবারের সবার কাছ থেকেই সাপোর্ট পাচ্ছি।

দর্শক বুবলী-নিরবের রসায়ন ভীষণ উপভোগ করছে: নিরব

জাগো নিউজ: তারকাদের ব্যক্তি জীবন বিষয় নিয়ে সবার-ই খুব কৌতূহল থাকে। এটি আপনি কিভাবে দেখছেন?

নিরব: এটা স্টারিজমের একটি সাইড ইফেক্ট বলতে পারেন।

জাগো নিউজ: ছোটবেলা থেকেই কি ইচ্ছে ছিল মডেল হবেন?

নিরব: না, তেমন কোনো ইচ্ছে ছিল না। যেহেতু ফার্মাসিতে পড়েছি, তাই ফার্মাসিস্ট হওয়ার ইচ্ছে ছিল। পাইলট হওয়ারও ইচ্ছে ছিল, তবে আমার চোখের সমস্যার কারণে তা হতে পারিনি।

জাগো নিউজ: ঘুম থেকে উঠে কি করা হয়?
নিরব: মোবাইল দেখা, সারাদিনের প্লানিং করা-এভাবেই ঘুম থেকে উঠে আমি দিনটা সাজাই।

জাগো নিউজ: কোন তিনটি জিনিস ছাড়া বাসা থেকে বের হন না?

নিরব: ফোন, টাকা, গাড়ির চাবি।

এমএমএফ/জেআইএম

আরও পড়ুন