ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০৭:৩১ পিএম, ৩০ জুন ২০২৩

২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে বাঙালি আবেগের অন্যতম নাম গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হন। প্রয়াত হওয়ার এক বছরের মধ্যে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কলকাতার ডি-৬১৩ লেক গার্ডেন্সের বাড়ি।

প্রমোটারে হাতুড়ির আঘাতে গুঁড়িয়ে গেছে ইট, কাঠের দেরাজ দালান। এই বাড়িতেই কিংবদন্তি শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নব্বইটা বছর কেটে গেছে। সেই বাড়ি এখন প্রমোটারের থাবায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যে বাড়ির আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে বাংলা গানের স্বর্ণযুগের মুহূর্ত।

আরও পড়ুন: মহানায়ক উত্তম কুমার স্মরণে চিরস্মরণীয় ৩১ সিনেমা

যে বাড়ির দেওয়াল সাক্ষী বাংলা গানের স্বর্ণযুগের ঐতিহাসিক মুহূর্তের। সেই বাড়ির দেওয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাঙ্গা বাড়ির মাটিতে ধুলোয় গড়াগড়ি খাচ্ছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গুরু উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খাঁর ছবি।

উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খাঁর ছবি উদ্ধার করেছেন ঐ এলাকার মানবী নামে এক নারী। তিনি ছবিটি পৌঁছে দেন সংগীতশিল্পী কৌশিকি চক্রবর্তীর বাড়িতে। সে ছবি পরিষ্কার করে সম্মানের সাথে রাখা হয়েছে যথাযথ আসনে।

আরও পড়ুন: বলিউড তারকা সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে নতুন মোড়

মানবীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কৌশিকী চক্রবর্তী বলেন, ‘সন্ধ্যা পিসি জেনে খুশি হবেন যে, তার গুরুজীর ছবি উদ্ধার করে যথাযথ ভালোবাসা ও সম্মানের সঙ্গে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তার আশেপাশে সংগীতের অবস্থান।’

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সেক্রেটারি ছিলেন স্বপন মুখোপাধ্যায়। তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন। স্বপন মুখোপাধ্যায় বলেন, এই বাড়িতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, নচিকেতা ঘোষ, মান্না দে, ওস্তাদ মুনোয়ার ছাড়াও শ্যামল মিত্র, সলিল চৌধুরী কে না এসেছেন। কিন্তু এই বাড়িটি হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়নি। দিদি থাকতেই এই বাড়িতে ফাটল ধরেছিল।

তিনি আরও বলেন, তিনতালা এই বাড়ি দিদির মেয়ের পক্ষে একা দেখাশোনা করা সম্ভব নয়। বর্ষাকালে বাড়ির নিচ তলায় পানি প্রবেশ করতো।

আরও পড়ুন: প্রেমের সিনেমায় গভীর সামাজিক বার্তা দিলেন কার্তিক-কিয়ারা

ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খাঁর ছবির প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন, এই ছবিটি দিদির এক অনুরাগী দিয়েছিলেন। অনেক আগে থেকেই অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে চিলেকোঠায় রাখা ছিল। দিদির কাছে যে আসল ছবিটি ছিল সেটি এখনো আলমারিতেই আছে।

জানান গেছে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর এক বছর পেরনোর পরই ডি-৬১৩ লেক গার্ডেন্সের বাড়ি প্রমোটারদের হাতে তুলে দেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে সৌমি গুপ্ত। এই বিষয়ে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে সৌমি গুপ্ত জানান এইটা তাদের পারিবারিক বিষয় তাই তিনি কোনো কিছুই বলবেন না।

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গানের ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক প্রতিবাদের ঝড় উঠে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গানের ভক্তদের দাবি করেন, কেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি সংরক্ষণ করা হলো না।

অপরদিকে পুরো কর্তৃপক্ষ জানান, যেহেতু বাড়িটি ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং শিল্পীর পরিবারের পক্ষ থেকে সংরক্ষণের কোনো আবেদন আসেনি তাদের পক্ষে হস্তক্ষেপ করা আইনসম্মত নয়।

ডিডি/এমএমএফ/এএসএম

আরও পড়ুন