ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

ঈদে আসছে শিরিনের ‘বাইন দুয়ারদি’

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ১২:০১ পিএম, ২৭ জুন ২০২৩

ঈদুল আজহা উপলক্ষে আসছে পাঞ্জাবিওয়ালাখ্যাত শিল্পী শিরিনের নতুন আঞ্চলিক গান ‘বাইন দুয়ারদি’। মঙ্গলবার (২৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় আবদুল গফুর হালী রিচার্স সেন্টারের প্রযোজনায় গানটি ‘গফুর হালী’ ইউটিউবে প্রকাশ করা হবে।

গানটি আঞ্চলিক ভাষায় রচনা করা হয়েছে। গানটির গীতিকার ও সুরকার চট্টগ্রামের কালজয়ী সংগীতজ্ঞ আবদুল গফুর হালী এবংএর সংগীত পরিচালনা করেছেন তানিম।

গফুর হালী ইউটিউব চ্যানেলটির যাত্রা শুরু হয়েছিল শিরিনের ‘কালা’ গানটি দিয়ে।

আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের সেক্রেটারি, লোকসংগীত গবেষক নাসির উদ্দিন হায়দার বলেন, গফুর হালীর অমর সৃষ্টি ‘বাইন দুয়ারদি ন আইস্য তুঁই নিশির কালে’ গানটি সত্তরের দশকে আঞ্চলিক গানের সম্রাজ্ঞী শেফালী ঘোষের কণ্ঠে দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল। পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক ও আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ারুল হকের পৃষ্ঠপোষকতায় গানটি নতুন ভাবে শিরিনের কণ্ঠে রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের লোকসংগীতের প্রচার-প্রসারে আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ভাষার চিরসবুজ গানগুলোকে ভিন্ন আমেজে পর্যায়ক্রমে শ্রোতাদের কাছে তুলে ধরা হবে।

শিল্পী শিরিন বলেন, আবদুল গফুর হালীর পাঞ্জাবিওয়ালা, মনের বাগানে-গানগুলো গেয়ে আমার উত্থান। গফুর চাচা আমাকে খুব স্নেহ করতেন। কিংবদন্তি শেফালী ঘোষ, কল্যাণী ঘোষের কণ্ঠে চার দশক ধরে তুমুল জনপ্রিয় গানগুলো গাওয়া সহজ কথা নয়। আমি চেষ্টা করেছি ‘বাইন দুয়ারদি ন আইস্য তুঁই নিশির কালে’ গানটির মূল ঠিক রেখে ভিন্ন আমেজে গাইতে। আশা করি গানটাতে চট্টগ্রামের মাটির গন্ধ পাবেন শ্রোতারা।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও মাইজভাণ্ডারী গানের রানী হিসাবে খ্যাত শিল্পী কল্যাণী ঘোষ বলেন, আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টার চট্টগ্রামের চিরসবুজ গানগুলোকে নতুনভাবে তুলে ধরার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা খুবই সময়োপযোগী। কারণ মোবাইল-যুগ আসার পর চট্টগ্রামের গানে বড় একটা সংকট তৈরি হয়েছে। অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নতুন গান আর আসছে না, তৈরি হচ্ছে না নতুন শিল্পীও।

শিরিনের মতো জনপ্রিয় শিল্পী আবারও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান কণ্ঠে তুলে নিয়েছেন এটা বড় সুখবর। প্রায় অর্ধশত বছর আগের গানগুলো নতুন সংগীতাযোজনে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমাদের সবার কর্তব্য। এতে আঞ্চলিক ও মাইজভাণ্ডারী গানে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা কিছুটা হলেও পূরণ হবে বলে তিনি মনে করেন।

এমআরএম/জিকেএস