সংগীত প্রতিযোগিতায় সেরা শিল্পী পাবেন ৫০ লাখ টাকা

প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার ধারণা পাল্টে দিতে এবার আসছে অন্যরকম একটি আয়োজন। আগের প্রাতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের সরাসরি উপস্থিত থাকতে হতো।

এবার গান গেয়ে তা অনলাইনে পাঠিয়ে দিলেই বিচারকদের কাছে তা চলে যাবে। শুধু বাংলাদেশ থেকে নয়, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে বাঙালি ও বাংলাভাষী মানুষেরা এ গানের প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।

আরও পড়ুন: জীবনের গল্প বলতে গিয়ে কাঁদলেন আসিফ, কাঁদালেন সবাইকে

খুবই সহজ পদ্ধতিতে কয়েক ধাপের যাচাই–বাছাই শেষে বিজয়ী বাছাই করবে আয়োজক প্রতিষ্ঠান। এজন্য ‘হ্যালো সুপারস্টার’ অ্যাপস নামের একটি অ্যাপস চালু করা হয়েছে।

১৪ জুন বিকেলে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: এবার বলিউডের সিনেমায় আসিফ আকবর

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে ‘হ্যালো সুপারস্টার’ অ্যাপসের সংগীতবিষয়ক প্রতিভা অন্বেষণের চূড়ান্ত আয়োজনে প্রধান বিচারক হিসেবে থাকবেন সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা, কুমার শানু, বিনোদ রাঠোর ও আসিফ আকবর।

ই-অডিশনের মাধ্যমে এই আয়োজনে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করছে অ্যাপটি। ভিন্ন ধরনের এ ভার্চুয়াল কার্যক্রমের মাধ্যমে খুঁজে প্রতিভাবান সংগীতশিল্পী বের করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগ্রহী প্রতিযোগীরা যেকোনো বয়সেরই হতে পারবেন। অ্যাপসে নাম নিবন্ধন করে বিনামূল্যে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বাছাইপর্বে।

হ্যালো সুপারস্টারের বাংলাদেশ অংশের প্রধান সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। তিনি জানান, এই অ্যাপের কার্যক্রমগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম। যার মধ্যে সংগীত যেমন আছে, ভবিষ্যতে যুক্ত হবে অভিনয়, খেলাধুলাসহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্র। প্রতিভা অন্বেষণের এই বাছাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাতে আটটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। এসব ধাপের প্রতিটি পর্বে বিচারক হিসেবে থাকবেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালকরা।

আগামী ১ জুলাই এ আয়োজনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ‘হ্যালো সুপারস্টার’ অ্যাপের মাধ্যমে সেরা দশজনকে নিয়ে আগামী বছরের ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত পর্ব।

এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন পাবেন ৫০ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার। প্রথম রানারআপ পাবেন ১০ লাখ এবং দ্বিতীয় রানার আপ ৫ লাখ টাকা। সেরা দশের বাকি সাত প্রতিযোগীর প্রত্যেকে পাবেন দুই লাখ টাকা। অর্থমূল্য ছাড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন পাবেন দেশ-বিদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের সঙ্গে দ্বৈত গান গাওয়ার সুযোগও।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে প্রতিযোগীরা খালি গলায় গাওয়া যেকোনো ধরনের গানের ৪০ সেকেন্ডের ভিডিও আপলোড করে অংশ নিতে পারবেন।

এমআই/এমএমএফ/জিকেএস