ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

৭৫ বছরের অভিজ্ঞতা দিয়ে ছবিটি নির্মাণ করব : দেবাশীষ বিশ্বাস

প্রকাশিত: ০৮:২৭ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৬

চলচ্চিত্র নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাসের বয়স এখন ৩৯ বছর। তিনিই কি না বললেন চলচ্চিত্র নিয়ে তার ৭৫ বছরের অভিজ্ঞতা। আর সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই তিনি তার নতুন ছবি ‌‘মন জ্বলে’ নির্মাণ করতে যাচ্ছেন।

৩৯ বছরের মানুষের আবার ৭৫ বছরের অভিজ্ঞতা হয় কী করে? খটকারই বিষয় বটে। তবে মজার ছলে খটকাটা ভাঙলেন দেবাশীষ নিজেই। বললেন, ‌‘আমার বাবা দিলীপ বিশ্বাস ছিলেন দেশের একজন কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা। বাবার হাতেই নির্মিত হয়েছে ‘দাবী’, ‘বন্ধু’, ‘আসামী’, ‘অনুরোধ’, ‘জিনজির’, ‘আনারকলি’, ‘অংশীদার’, ‘অপমান’, ‘অস্বীকার’, ‘অপেক্ষা’, ‘অকৃতজ্ঞ’, ‘অজান্তে’, ‘মায়ের মর্যাদা’র মত সুপারহিট ছবি। তার ছেলে হিসেবে আমি নিজেকে পৃথিবীর ভাগ্যবান সন্তানদের একজন বলেই মনে করি। বাবার সুবাদেই আমি জন্মের পরপর চলচ্চিত্রের গন্ধ পেয়েছি। গল্প, গান, চরিত্র, নির্মাণ, ক্যামেরা, লাইটের সঙ্গে বেড়ে ওঠেছি। সে হিসেবে আমার বয়স ৩৯’র সঙ্গে বাবার অভিজ্ঞতা যোগ করে চলচ্চিত্রে আমার অভিজ্ঞতাটা ৭৫ বছরের।’

দেবাষীশ বিশ্বাস তার সেই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে তার পরিচালিত নতুন ছবি ‘মন জ্বলে’র সংবাদ সম্মেলনে।

নির্মাতা দেবাশীষ আরো বলেন, ‘অনেকে চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক বড় প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ালেখা করে আসেন। এটা নিঃসন্দেহে খুব ভালো। কিন্তু আমি চলচ্চিত্র নিয়ে কোন প্রাতষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করিনি। কারণ আমি মনে করি আমার প্রয়াত বাবা ছিলেন নিজেই একজন প্রতিষ্ঠান। আমার বাবার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল তিন দশকের বেশি। এসময় আমি তার সান্নিধ্যে থেকে যা কিছু অর্জন করেছি সেটা আমার কাছে অনেক কিছু। বলা যায়, ৩৯ বছর বয়সে আমি ৭৫ বছরের অভিজ্ঞতা সঞ্চার করেছি।’

সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামীতে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলচ্চিত্রকে কিছুটা হলেও সমৃদ্ধ করার দৃঢ় প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন শ্বশুর বাড়ি জিন্দাবাদ খ্যাত নির্মাতা দেবাশীষ।

তিনি বলেন, ‘দর্শকদের মৌলিক গল্পের বিনোদন দেয়ার লক্ষেই নতুন একজন চিত্রনাট্যকারকে দিয়ে ছবিটির গল্প লিখেছি। অনেক সময় নিয়েছি প্রস্তুতির জন্য।’

Debu Da
বক্তব্যের এক ফাঁকে ছবির নায়ক সাইমনকে নিয়ে মজার উদ্দেশ্যে দেবাশীষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা লক্ষ করেছেন কি না জানিনা, সাইমনের পিছু ছাড়ছে না ‘মন’। ‘পোড়ামন’, ‘পুড়ে যায় মন’ এর পরে তার ভাগ্যে জুটেছে ‘মন জ্বলে’ নামের ছবি। আরো মজার বিষয় হলো সাইমনের নামের শেষেও ‘মন’। এই ‘মন’ খ্যাত নায়কের জন্য আপনার শুভকামনা রাখবেন সবসময়।’

এদিকে, ‘মন জ্বলে’ ছবির সংবাদ সম্মেলয়ে উপস্থিত ছিলেন ছবির নায়ক সাইমন সাদিক, অভিনেতা সাদেক বাচ্চু এবং ছবিটি প্রযোজক দেলোয়ার হোসেন নবীন ও গাফফার এহসান। অন্য একটি ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতে পারেননি ছবিটির নায়িকা পরীমনি।

নবীন চলচ্চিত্র প্রযোজিত ‘মন জ্বলে’র দৃশ্যধারণ শুরু হবে আগামী পহেলা আগস্টে। সুস্ময় সুমনের চিত্রনাট্যে ছবিটির জন্য গান তৈরি করছেন ইমন সাহা ও লিখছেন সুদীপ কুমার দীপ।

অনুষ্ঠানে ছবিটিকে আশিষ জানিয়ে বরেণ্য অভিনেতা সাদেক বাচ্চু বলেন, ‘দেবু (দেবাশীষ বিশ্বাস) ছবি বানাতে যাচ্ছে এটাই আমার কাছে বিরাট আনন্দের খবর। এই ছবির দুই প্রযোজককে আমি ধন্যবাদ জানাই। সেইসঙ্গে অভিনন্দিত করি তারা দেবাশীষের মতো নির্মাতাকে বাছাই করে নিতে পেরেছেন। দেবু আমার ছেলের মতো। ওর সব কাজই আমার ভালো লাগে। ও না বললেও ওর কাজগুলোর সঙ্গে আমার প্রার্থনা থাকে। দেবু প্রমাণীত সফল নির্মাতা। ওর আগের ছবিগুলো আলোচিত ছিলো, ব্যবসা সফল ছিলো। আশা করছি এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘ছবিটির নায়ক হিসেবে সাইমন কাজ করছে। ও এ প্রজন্মের অন্যতম সফল নায়ক। খুব ভালো একটা ছেলে। ওর মধ্যে চলচ্চিত্রের প্রতি অগাধ ভালোবাসা রয়েছে। পরীমনির সঙ্গে ওর জুটিও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আশা করছি ‘মন জ্বলে’ ছবি দিয়ে আবারো দর্শকদের মন জ্বালাবে এই জুটি।’

Saimon
ছবিতে কাজ করা প্রসঙ্গে নায়ক সাইমন বলেন, ‘রোমান্টিক ছবিতে ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত নায়ক নায়িকার মিলন দেখানো হয়। ‘মন জ্বলে’ ছবিটিও তেমনি রোমান্টিক প্রেমের ছবি। তবে এ ছবিতে নায়ক-নায়িকার মধ্যে দুঃখ, কষ্টের পরিমাণ বেশি দেখানো হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেবাশীষ বিশ্বাস নামটি আমার অনেক আগে থেকেই প্রিয়। তার পথের প্যাচালী আজও মুগ্ধতা দেয় আমাকে। আমি দাদার ভ্ক্ত। নিজের প্রিয় মানুষের পরিচালনায় নায়ক হিসেবে অভিনয় করছি এটা ভেবে বেশ উচ্ছ্বসিত আমি। আরো মজার ব্যাপার, ছবিটিতে আরো দুই বছর আগেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। তারপর অনেকটা সময় কেটে গেছে। অনেকেই বলেছেন ছবিটি আর হবে না বোধ হয়। কিন্তু আমি দাদার উপর বিশ্বাস হারােইনি। এই ছবির দুই প্রযোজককেও আমি ধন্যবাদ জানাই তারা দাদার উপর বিশ্বাস রেখেছেন। আপনারা দোয়া করবেন যাতে করে চলচ্চিত্রের এই মন্দা বাজারে আমরা ভালো এবং সফল একটি চলচ্চিত্র উপহার দিতে পারি।’

এনই/এলএ