ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

মায়ের কাছ থেকেই গান শেখা শুরু: রাজীব

মেহেদী হাসান সজীব | প্রকাশিত: ০৬:২০ পিএম, ১৯ মে ২০২৩

নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মিজান মাহমুদ রাজীব। তার অষ্টপ্রহর কাটে গানের সঙ্গে। ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় ২০০৫ সালে প্রথম রানার্সআপ হন তিনি। এরপর থেকেই তাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।

২০১০ সালে তার গাওয়া ‘একলা মানুষ’ অ্যালবাম থেকে মৌলিক গান, ‘কালিয়া সোনারে গত নিশি কোথা ছিলে’-গানটির কথা হয়তো শ্রোতাদের মনে এখনো দাগ কেটে আছে। সম্প্রতি শ্রোতাপ্রিয় এ কণ্ঠশিল্পী রাজীব জাগো নিউজের মুখোমুখি হয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেহেদী হাসান সজীব-

জাগো নিউজ: কেমন আছেন ভাইয়া?

মিজান মাহমুদ রাজীব: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো। যেহেতু গানের মানুষ, সুরের মানুষ সেহেতু খারাপ থাকার অবকাশ নেই।

jagonews24

আরও পড়ুন: কানে সাদা গাউনে মোহময়ী উর্বশী

জাগো নিউজ: গান নিয়ে ব্যস্ততা কেমন?

মিজান মাহমুদ রাজীব: গান গেয়েই আমার সময় কেটে যাচ্ছে। হাতে বেশ কিছু গানের কাজ আছে। হয়তো খুব শিগগির আপনারা শুনতে পাবেন নতুন এ গানগুলো। আশা করছি ভালোই লাগবে।

জাগো নিউজ: আপনার গানের হাতেখড়ি হয়েছিলো কিভাবে?

মিজান মাহমুদ রাজীব: গানের হাতেখড়ি আমার মায়ের কাছ থেকে। এক কথায় বলা যায়, মায়ের কাছ থেকেই আমার গোন শেখা শুরু। যদিও আমার মা পেশাদার শিল্পী নন, তবুও মায়ের কণ্ঠ ছিল খুব সুন্দর। এরপর জামালপুর শিল্পকলা একাডেমি থেকে গানের দীক্ষা নিয়েছিলাম। এভাবে শুরু হয় গানের সঙ্গে পথচলা। আস্তে আস্তে বিভিন্ন স্কুল প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাওয়ার পর থেকে আগ্রহটা বাড়তে থাকে। তবে আগ্রহের জায়গাটা হয় কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রুকিশের গান থেকে। তাকে আমি আমার আইডল মনে করি।

আরও পড়ুন: কান উৎসবে বিজয়ের পোশাক বানাতে রাজি হননি কোনো ডিজাইনার

জাগো নিউজ: ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় কিভাবে আসলেন?

মিজান মাহমুদ রাজীব: ২০০৫ সালে ক্লোজআপ ওয়ান প্রথম গানের রিয়েলিটি শো শুরু হয়। এই খবর মা-ই আমাকে প্রথম দিয়েছিলেন এবং রেজিস্ট্রেশন করতে বলেন। যদিও আমার তেমন ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু মায়ের ঐকান্তিক ইচ্ছাতে আর না করতে পারলাম না। তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। রেজিস্ট্রেশন করার পরে ডাকও পেয়ে গেলাম। এরপর শুরু হয় প্রতিযোগিতার জার্নি।

জাগো নিউজ: কেমন ছিল সেই জার্নিটা?

মিজান মাহমুদ রাজীব: যেদিন বাছাই পর্ব হলো সেদিন আমার গলাটা একটু বসা ছিলো। তাই সেদিন প্রায়ই বাদ পড়ে গিয়েছিলাম। উপর ওয়ালার ইচ্ছায় সেদিন সিলেক্ট হয়ে যাই। এরপর শুরু হয় আমাদের বিশাল এক জার্নি। যেখানে আমরা শিখেছি, জেনেছি নিত্যনতুন। এ রিয়েলিটি শোতে একের পর এক রাউন্ড টপকে গ্রান্ড ফিনালেতে হয়ে যাই প্রথম রানার্সআপ। যে কারণেই হয়তো আজ আপনাদের ভালোবাসার রাজীব হতে পেরেছি। দারুণ কিছু অভিজ্ঞতা আসে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।

আরও পড়ুন: নজরুল পুরস্কার পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত: শাহীন সামাদ

জাগো নিউজ: কোন ধরনের গান করেন আপনি?

মিজান মাহমুদ রাজীব: আমার সবচেয়ে পছন্দের গান দেশাত্মবোধক। তবে বেশি গাওয়া হয় রোমান্টিক, ফোক, আধুনিক। তাছাড়া সিনেমার গানের প্রতি আলাদা একটা ভালোবাসা কাজ করে। তাই প্লেব্যাকের সুযোগ পেলেই কণ্ঠ দেই।

জাগো নিউজ: আপনার পছন্দের গান কোনটি?

মিজান মাহমুদ রাজীব: যদি মৌলিক গানের কথা বলি তবে ‘একলা মানুষ’ অ্যালবামের ‘কালিয়া সোনারে গত নিশী কোথা ছিলে’ গানটির কথা বলতেই হয়। ২০১০ সালে গানটি রিলিজ হওয়ার পর থেকেই অসংখ্য মানুষের প্রাণে জায়গা করে নিয়েছে এই গান।

জাগো নিউজ: কার লেখা গানে বেশি কণ্ঠ দেওয়া হয়েছে?

মিজান মাহমুদ রাজীব: আমি সরকার মাহবুবুল ও খালিদের লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছি সবচেয়ে বেশি। তবে আরও অনেক গীতিকারের গান গাওয়া হয়েছে। আমি চেষ্টা করি আমার সাধ্যমতো গানগুলো গাওয়ার।

জাগো নিউজ: কোন প্ল্যাটফর্মে বেশি গান গাওয়া হয়?

মিজান মাহমুদ রাজীব: আমি স্টেজ শো বেশি করি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যাই গান করতে। গ্রাম-গঞ্জের মাটির মানুষের সঙ্গে মিশতে সবসময়ই ভালো লাগে। মনে হয় আত্মার পরম আত্মীয় তারা। এছাড়া সিনেমা, মিউজিক ভিডিও, অ্যালবাম করা হয়।

jagonews24

জাগো নিউজ: আপনার শ্রোতা ও দর্শকদের জন্য কি বলবেন?

মিজান মাহমুদ রাজীব: শ্রোতা বা দর্শক আছেন বলেই আমি রাজীব হতে পেরেছি। আমি আজ আপনাদের রাজীব। শ্রোতার সঙ্গে আমার মেলবন্ধনটা আছে, এবং থাকবে। আপনাদের ভালোবাসায় আমাকে সেই আগের মতোই রাখবেন বলে আশা করছি। সবচেয়ে বড় কথা শ্রোতা বা দর্শক ছাড়া আমি রাজীব হতে পারব না।

জাগো নিউজ: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় আমাদের দেওয়ার জন্য।

মিজান মাহমুদ রাজীব: জাগো নিউজ এবং আপনাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ।

এমএমএফ/জিকেএস

আরও পড়ুন