আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে মেয়েদের সংখ্যা বেশি: জায়েদ খান
জাগো তারকা এবারের ঈদ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হয়ে এসেছিলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ২০০৮ সালে মুহম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ চলচ্চিত্র দিয়ে সিনেমায় তার যাত্রা শুরু। এরপর তিনি বেশকিছু ছবি দর্শকদের উপহার দেন। ‘জাগো তারকা’র বিশেষ আয়োজনে কথা হলো তার সঙ্গে-
জাগো নিউজ: কেমন আছেন?
জায়েদ: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।
জাগো নিউজ: চলচ্চিত্রে কীভাবে আসলেন?
জায়েদ: বাংলা চলচ্চিত্রে আসার বিষয়টা আমার একটু উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। কারণ আমি শৈশব থেকেই চাইতাম যে আমি সিনেমার হিরো হবো। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করা। নিজের প্রতি খেয়াল রাখা। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন একটি নোটিশের মাধ্যমে যখন নতুন মুখের আহ্বান করেছিল। সেই নতুন মুখের প্রতিযোগিতায় শত শত প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে আমি বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন মুখ হিসেবে নির্বাচিত হই। তখন থেকেই চলচ্চিত্রের সঙ্গে লেগে থাকা; এরপরে মূল সুযোগটা এলো ২০০৮ সালে। ২০০৮ সালে সিনেমায় অভিনয় শুরু করি। এরপর থেকে এখনো অভিনয় করেই চলছি।
আরও পড়ুন: আমার ঈদ নিরানন্দময় তোমাদের ছাড়া: জায়েদ খান
জাগো নিউজ: আপনাকে নিয়ে একটি গুঞ্জন শোনা যায় তা হলো আপনি মেয়েদের প্রতি খুব সহজেই আকৃষ্ট হন এবং অনেক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করেন কথাটা কতটুকু সত্য?
জায়েদ: আসলে মেয়েদের প্রতি আমি সরাসরি আকৃষ্ট হই না। কারণ আমার আকৃষ্ট বা আসক্ত হওয়ার কোনো কারণই নেই। কারণ বাংলা ফিল্মের হিরো হিসেবে জায়েদ খানকে অনেক মেয়েই পছন্দ করে সেই সুবাদে অনেক মেয়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয় এটা সত্য। অনেক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করেছি কথাটি ঠিক নয়। প্রেম করেছি এটা সত্য, কিন্তু সংখ্যায় বেশি নয়। তবে বর্তমানে কোনো মেয়ের সঙ্গেই আমার প্রেমের সম্পর্ক নেই। আমি বর্তমানে সিঙ্গেল।
আরওপড়ুন: ধর্মের বাণী শোনালেন জায়েদ খান
জাগো নিউজ: আপনি নিজেকে কতটুকু স্মার্ট ভাবেন?
জায়েদ: স্মার্টনেসের কথা বললে এটি মূলত শারীরিক গঠন এবং মানুষের পোশাক-আশাকের কথা উঠে আসে। আমি নিজেকে স্মার্ট মনে করি। কারণ আমি সালমান খানের (বলিউড তারকা) একজন অন্ধ ভক্ত। তাকে অনুসরণ করি। তার স্টাইল অনুযায়ী আমিও চলার চেষ্টা করি। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে নারীরা সবচেয়ে যাকে বেশি পছন্দ করে, তিনি হলেন সালমান খান। যেহেতু আমি তার একজন ভক্ত। বাংলা চলচ্চিত্রের কাজ করছি, সে অনুযায়ী আমার তো কিছু মেয়ে ভক্ত থাকবেই। আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা অনেক বেশি। তাই নিজেকে সবসময় আপডেট রাখতে হয়,স্মার্ট রাখতে হয়।
জাগো নিউজ: আমরা জানি যে, আপনি অভিনয়ের পাশাপাশি ভালো গানও করেন, পরের কোনো সিনেমায় কি আমরা আপনার কণ্ঠে কোনো গান শুনতে পারবো?
জায়েদ: এক কথায় কোনো সম্ভাবনা নেই । কারণ গান আমি গুণগুণ করে গাই নিজের মন ভালো রাখার জন্য। গান অনেক বড় একটা জিনিস প্লেব্যাক করার ক্ষমতা আসলে আমার নেই।
জাগো নিউজ: মানুষ সিনেমা দেখার জন্য বর্তমানে হলমুখী হচ্ছে না। এটি কি সিনেমা রিলিজের জন্য অনেক বড় বাধা; আপনি বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জায়েদ খান
জায়েদ: যদি সিনেমা হলই না থাকে তাহলে আপনি সিনেমা বানিয়ে কোথায় প্রদর্শন করেবেন। সিনেমা রিলিজের জন্য হল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আমাদের এখানে সিনেমা হল নেই বললেই চলে। যে কটি হল আছে, সেই হলে সিনেমা বানিয়ে প্রদর্শন করে প্রোডিউসারের সিনেমা বানানোর টাকা ফেরত নিয়ে আসা খুব কঠিন। আগের মতো দল বেঁধে সিনেমা হলে যায় না কারণ আধুনিক প্রযুক্তির কারণে মানুষ বাসায় বসে অনেক বিনোদন পাচ্ছে। আমি মনে করি মানুষকে হলে নিয়ে যেতে হলে হলের পরিবেশ ঠিক করতে, হলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তবেই মানুষ সিনেমা দেখার জন্য হলমুখী হবে।
জাগো নিউজ: আপনার কাছে শেষ প্রশ্ন নায়ক হিসেবে আপনি নিজেকে কতটুকু সফল মনে করেন?
জায়েদ: আসলে আমি নায়ক হিসেবে কতটুকু সফল বা ব্যর্থ এটা আমার কাছে বড় বিষয় নয়। কারণ একটা মানুষের জীবনে সফলতা এবং ব্যর্থতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমি যদি সিনেমায় আসার আগে জায়েদ খানকে চিন্তা করি, সেই সুবাদে আজকের জায়েদ খান হিসেবে আমি অনেক সফল।
এমএমএফ/জিকেএস