শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে সালমান-শাবনূরের সিনেমা
ঢাকাই সিনেমার প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ ও শাবনূর অভিনীত জুটির প্রথম চলচ্চিত্র ‘তুমি আমার’। আবারও সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। আগামী শুক্রবার বরিশালের অভিরুচি সিনেমা হলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ব্যবসাসফল এ সিনেমাটি।
এ খবর জানান সিনেমার কাহিনিকার আবদুল্লাহ জহির বাবু।
এত বছর পর আবার মুক্তি প্রসঙ্গে অনুভূতি জানাতে গিয়ে কাহিনিকার আবদুল্লাহ জহির বাবু বলেন, ‘খবরটি পেয়ে আমি খুব খুশি। ইতিহাস সৃষ্টি করা সিনেমাটি আবার সিনেমা হলে দেখতে পাওয়া যাবে খবরটি অনেক আনন্দের। সিনেমাটি প্রথমে সপ্তাহে মুক্তি পায় ৪০ টির মতো সিনেমা হলে। সিনেমাটি তখন প্রথমে বড় সিনেমা হলগুলো নিতে চাচ্ছিল না। এরপরে বাকিটা ইতিহাস। এটি দুই কোটি টাকার ওপরে আয় করে। আবার মুক্তি দেওয়ার জন্য বুকিং এজেন্ট জাহাঙ্গীর ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।’
আবদুল্লাহ জহির বাবু তার ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি—আমার বাবা, মরহুম জহিরুল হক পরিচালিত এবং আমার লেখা কাহিনি ও সংলাপ সংবলিত প্রথম ছায়াছবি ‘তুমি আমার’ আগামী ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ এ বরিশাল অভিরুচি সিনেমা হলে পুনরায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে। সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালের কোরবানির ঈদে মুক্তি পেয়েছিল ‘তুমি আমার’। আমার বাবার ইন্তেকালের পর মরহুম তমিজ উদ্দীন রিজভী আংকেলের অবশিষ্ট পরিচালনার কাজ শেষ করার পর আদৃতা কথাচিত্রের ব্যানারে মুক্তি পায় সালমান শাহ ও শাবনূর অভিনীত প্রথম ছায়াছবি ‘তুমি আমার’। আমার জীবনের সম্ভবত সবচেয়ে স্মৃতি বিজড়িত এবং উল্লেখযোগ্য ছায়াছবি ‘তুমি আমার’। ব্যাপারটা আমাকে জানাবার জন্য দেবাশীষ বিশ্বাস দাদাকে এবং মুক্তি দেওয়ার জন্য জাহাঙ্গীর ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ‘তুমি আমার’ চলচ্চিত্রটি ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন জহিরুল হক ও তমিজউদ্দিন রিজভী। সালমান শাহের বিপরীতে এটি শাবনূরের প্রথম চলচ্চিত্র। এটি সালমান শাহের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। সালমানের প্রথম চলচ্চিত্র কেয়ামত থেকে কেয়ামতের সাফল্যের পর পরিচালক জহিরুল হক তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। চলচ্চিত্রটির কিছু অংশ নির্মাণ করার পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে তমিজউদ্দিন রিজভী বাকি কাজ শেষ করেন। এই ছবির কাহিনি লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির বাবু। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা ও পরিবেশিত করে আদৃতা কথাচিত্র। সালমান-শাবনূর ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করেছেন–কে এস ফিরোজ, প্রবীর মিত্র ও সৈয়দ হাসান ইমাম প্রমুখ।
এমআই/জিকেএস