রাজকে নিয়ে মুখ খুললেন পরীমনি
একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব করে না চাইলে একটা মেয়ে বাচ্চা নেওয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনোই।
আমার জীবনের সব চেষ্টা যখন এই সম্পর্ক ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা তখনই আমাকে পেয়ে বসা হলো। যেন শতকোটি বার যা ইচ্ছা তাই করলেও সব শেষে ওই যে আমি মানিয়ে নেই এটা রীতিমতো দারুণ এক সাংসারিক সূত্র হয়ে দাঁড়ালো। এভাবে রোববার (০১ জানুয়ারি) বিকালে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমনি।
তিনি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি জোড় দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই সম্পর্ক এত দিন আমার এফোর্টে টিকে ছিল শুধু। কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌঁছালে কোনো সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকে না। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়। রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বার বার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্য পড়ে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে! না। একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গলের জন্যই আলাদা হয়ে গেলাম।
আরও পড়ুন> ভাঙছে রাজ-পরীমনির সংসার!
রাজ এখন শুধু আমার প্রাক্তনই নয়, আমার ছেলের বাবাও। তাই রাজ্যের বাবার সন্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলছি না আমি।
তবে আমার ওপর তার আর তার পরিবারের কোনো অসুস্থ আচরণ বা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।
সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মী যারা রয়েছেন আপনারা নিশ্চই আমার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারবেন আশা করছি। আমাকে একটু সময় দিন। শারীরিক ভাবেও আমি বিধ্বস্ত রাজ্য তার বাবা-মাকে একসাথে নিয়ে বড় হতে পারলো না এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে আমার কাছে…!
আরও পড়ুন> হাতে ব্যান্ডেজ, রক্তের দাগ, কী হয়েছে পরীমনির?
এদিকে, বছরের শুরুতে আবারও আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনি। এবার আরও ভয়ংকর কিছুর ইঙ্গিত দিলেন তিনি। দুটি ছবি শেয়ার করলেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিছানা, বালিশে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। লিখলেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার। সংবাদ সম্মেলন, লোডিং....’। সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হয়। সবার প্রশ্ন, কী হয়েছে পরীমনি? কেন সংবাদ সম্মেলন করতে চাচ্ছেন এই তারকা।
এর আগের দিন পরীমনি ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে স্বামী রাজের সঙ্গে তার সংসারের ইতি টানছেন।
আরও পড়ুন> ‘আজ থেকে আমরা আলাদা হয়ে গেলাম, শিগগির বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব’
গত শুক্রবার মধ্যরাতে ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।’
এমআই/জিকেএস