শেষ হলো উচ্চাঙ্গ সংগীতের উৎসব
ওস্তাদ আমজাদ আলী খানের সরোদের সুরের মূর্ছনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো পঞ্চান্ন ঘণ্টার বর্ণিল `বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসব ২০১৪`। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে পাঁচদিনের এই উপমহাদেশীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের সবচেয়ে বড় আসরটি মঙ্গলবার ভোররাতে শেষ হয়েছে।
অগ্রহায়ণের হিমেল রাতে বিদুষী কিশোরী আমানকারের জাদুকরী কণ্ঠের মায়াজালে আবিষ্ট হয় হাজার হাজার দর্শক। এর আগে, শিব বন্দনা, তেহাই, পাঁচ গণনার বিভিন্ন কম্পোজিশন পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বিমোহিত করেন কত্থক নৃত্যশিল্পী বিশাল কৃষ্ণ।
এবারের আসরে বাংলাদেশ-ভারতের ১৬০ জন শিল্পী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে উৎসবের চতুর্থ রাতে কিংবদন্তি শিল্পী ওস্তাদ হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশি বাদনের টানে ভিড় জমান পঞ্চান্ন হাজারেরও বেশি সঙ্গীত পিপাসু।
উচ্চাঙ্গ সংগীতের চর্চা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে সংগীতের এ মহাযজ্ঞের আয়োজন। তবলার তাল, সন্তুর-সরোদ-আর বাঁশির সুরের মূর্ছনা, নৃত্যের ছন্দ আর শাস্ত্রীয় সংগীতের গুরুদের পরিবেশনায় সাজানো তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এবারের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয় পল্লী কবি জসীমউদ্দিনকে।
এবারের সুরময় এই আয়োজনে ছন্দপতন ঘটে উৎসবের চতুর্থ দিনে, খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী কাইয়ূম চৌধুরীর মৃত্যুতে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সমাপনই অনুষ্ঠানে, আগামীবারের আয়োজন এই শিল্পীকে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন আয়োজকেরা।