ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

নায়ক-নায়িকাদের সহজে দেখা গেলে সিনেমায় প্রভাব পড়ে: জায়েদ খান

জেলা প্রতিনিধি | ময়মনসিংহ | প্রকাশিত: ০৯:৪২ এএম, ১২ নভেম্বর ২০২২

অভিনয় জগতের তারকাদের প্রতি ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। সামনে থেকে একনজর দেখার সে কী তীব্র ব্যাকুলতা। এক সময় শুটিং সেটে নায়ক-নায়িকাদের দেখতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়তো। কিন্তু সময় পাল্টেছে। আর সেটি সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে। এখন তারকারা নিয়মিতই নিজেদের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করছেন। তাতে ভক্ত-অনুরাগীরা তাদের যখন তখন দেখতে ও তাদের বিষয়ে খোঁজখবরও পান। এমনকি তারকাদের হাড়ির খবরও এখন আর গোপন থাকে না।

কিন্তু অভিনয়শিল্পীদের নিজেদের গোপন রাখার সেই পুরনো ছবক নতুন করে শোনালেন ঢাকাই চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তিনিও মনে করেন গোপনের প্রতিই মানুষের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ। তাই নায়ক-নায়িকাদের মানুষ সহজে দেখে ফেললে তাতে সিনেমায় প্রভাব পড়ে।

jagonews24

জায়েদ খান বলেন, ঢাকার বাইরে কখনো তেমন যাওয়া হয় না। আমি খুব কম বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েছি, গেলেও সেটা ব্যক্তিগত কারণে। আমার মনে হয়, নায়ক-নায়িকাদের যদি মানুষ স্টেজে, বিভিন্ন জায়গায় সহজে দেখে ফেলে তাহলে সিনেমাতে এফেক্ট পড়ে। সাধারণ মানুষের সামনে ওরা যত কম শো হবে, স্ক্রিনে মানুষ তত বেশি দেখবে।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে গ্রেটার ময়মনসিংহ এসএসসি ৯২ ব্যাচ আয়োজিত নবান্ন উৎসবে পারফর্ম করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মূলত, চিত্রনায়িকা পরীমনি ও তার স্বামী চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের ঘর-সংসার এবং রাজের সঙ্গে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমের সম্পর্কের কানাঘুষা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি এসব কথা বলেন।

jagonews24

জায়েদ খান বলেন, ময়মনসিংহের সাথে আমার আত্মার টান, ময়মনসিংহের ছায়াবানী সিনেমা হল নাম করা। এ সিনেমা হলে আমার অনেক সিনেমা এসেছে। আমি আগেও একবার এসেছিলাম ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনে পোগ্রাম করতে। এটা আমার দ্বিতীয়বার ময়মনসিংহে আসা। এখানকার মানুষ কালচারাল, অনেক ইতিহাস আছে। এখানেই ময়মনসিংহ গীতিকার সৃষ্টি। সবকিছু মিলিয়ে এখানকার মানুষ শৈল্পিক, শিল্পী প্রিয়। অনেক ভালো লাগছে।

পরীমনি ও তার স্বামী শরিফুল রাজের বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, শিল্পীদের ব্যক্তিজীবন থাকবেই। কিন্তু সেটা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মানুষকে জানানোর পক্ষপাতী আমি না। আমার জীবনে অনেক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমি কখনো ফেসবুকে লাইভে এসে তা বলিনি। কারণ, এটা মানুষ হাসানো ছাড়া কিছু না। আর সেটা কোনো সমাধানও দিতে পারবে না। শিল্পীদের নিজেদের যে ব্যক্তিগত সমস্যা সেটা আলোচনার মাধ্যমে বেডরুমেই শেষ করে দেওয়া উচিত।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এমকেআর/এমএস