ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

ভারতের উৎসবে সুমনের ‘সাঁতাও’

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৫৮ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২২

নির্মাতা খন্দকার সুমনের গণঅর্থায়নে নির্মিত ‘সাঁতাও’ সিনেমা। ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়া’র ৫৩তম আসরে মনোনীত হয়েছে। জানা গেছে, আগামী ২০-২৮ নভেম্বর উৎসবের ‘সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি।

‘সাঁতাও’ সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাপনের গল্প নিয়ে। এতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল ও ফজলুল হক।

পরিচালক জানান, ছবিটির গল্পে দেখা যাবে গ্রামের কৃষক ফজলু বিয়ের পর বুঝতে পারে নতুন সংসারে পুতুল একাকিত্ব অনুভব করছে। পুতুলের একাকিত্ব দূর করতে ফজলু একটি গাভি কিনে আনে। পুতুল তার সংসারে নতুন সঙ্গী পেয়ে বাবার বাড়ি ছেড়ে আসার কষ্ট কিছুটা ভুলতে শুরু করে।

ভারতের উৎসবে সুমনের ‘সাঁতাও’

এদিকে, নদীর উজানে একের পর এক বাঁধের কারণে ভাটি অঞ্চল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রতিকূল পরিবেশে ফজলুর মতো কৃষকদের কৃষিকাজে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অবিরাম বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢল এসে উপচে না পড়া পর্যন্ত বাঁধগুলোর দরজা বন্ধ রাখা হয়। আবার বাঁধের দরজাগুলো খুলে দিলে আটকে থাকা বিশাল জলধারা নদীতে প্রবাহিত হতে শুরু করে।

নদীর গভীরতা কম থাকায় হঠাৎ প্রবাহিত জলধারা নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হয়ে পশু-পাখিসহ জনজীবনে অভিশাপ বয়ে আনে। নদীর এমন বিরূপ আচরণে ফজলু ও পুতুলের সুখী সংসার বিষাদময় হয়ে ওঠে। কৃষকের সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সার্বজনীন রূপ এবং সুরেলা জনগোষ্ঠীর সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নায় আবর্তিত হয়েছে ‘সাঁতাও’র কাহিনি।

ভারতের উৎসবে সুমনের ‘সাঁতাও’

সিনেমাটি পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন খন্দকার সুমন। আরও অভিনয় করেছেন মো. সালাউদ্দিন, সাবেরা ইয়াসমিন, স্বাক্ষ্য শাহীদ, শ্রাবণী দাস রিমি, তাসমিতা শিমু, মিতু সরকার, ফারুক শিয়ার চিনু, আফ্রিনা বুলবুল, রুবল লোদী, কামরুজ্জামান রাব্বী, আব্দুল আজিজ মন্ডল, বিধান রায়, জুলফিকার চঞ্চল, বিনয় প্রসাদ গুপ্ত, সুপিন বর্মণ, রেফাত হাসান সৈকত, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, আলমগীর কবীর বাদল, রবি দেওয়ান, দীনবন্ধু পাল, হামিদ সরকার, মো. হানিফ রানা, আকতার হোসেন, আজিজুল হাকিম শিউস, সাইফুল ইসলাম লিটন, রাসেল তোকদার, মজনু সরকার, আবু কালাম, সিদ্দীক আলী, সুজন মাহমুদ, তাহসিনা আকতার তন্বী, নিশাত তাহিয়াত মিমন এবং তিস্তাবাজার এলাকাবাসী।

এমআই/এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন