শাকিবের উপর বিরক্ত হয়ে চলে গেলেন সাংবাদিকরা
আসবেন কথা দিয়েও ‘মা’ ছবির মহরতে হাজির হলেন না শাকিব খান। সকাল ১১ টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর পৌনে তিনটার মধ্যেও এফডিসিতে পৌঁছাননি স্বঘোষিত ঢালিউড কিং শাকিব। দেশের শীর্ষ নায়কের এমন কান্ডজ্ঞানহীন আচরণে বিরক্ত হয়ে ক্ষোভে অবশেষে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেছেন সাংবাদিকরা।
বিষয়টিতে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন ছবির পরিচালক কালাম কায়সার। তিনি সাংবাদিকদের কাছে শাকিবের কথার বরখেলাপীর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে দিনের আধবেলা অবধি প্রায় বিশ জনের মতো সাংবাদিককে এভাবে অকারণে বসিয়ে রেখে সময় নষ্ট করার জন্য শাকিবের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকরা। তারা শাকিবের সময়জ্ঞান ও সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পরামর্শ দিয়েছেন।
পরিচালক কালাম কায়সার শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসকে নিয়ে নির্মাণ করতে যাচ্ছেন তার নতুন চলচ্চিত্র ‘মা’। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সাংবাদিকদের আজ সকাল ১১টায় এফডিসির তিন নাম্বার ফ্লোরে ডেকেছিলেন পরিচালক। কথা ছিলো ছবির নায়ক-নায়িকা শাকিব ও অপু উপস্থিত থাকবেন। আমন্ত্রণ পেয়ে দেশের প্রায় ত্রিশটি অনলাইন পোর্টাল, সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও রেডিও’র সাংবাদিকরা ১১টা বাজার আগে থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হচ্ছিলেন। কিন্তু বেলা গড়িয়ে পৌনে তিনটা বেজে গেলেও শাকিব-অপুর পাত্তা নেই। সাংবাদিকদের চাপে পরিচালক শাকিবকে ১২টার পর থেকেই মোবাইলে কল দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আর নায়িকা অপু বিশ্বাস জানান, তিনি তৈরিই আছেন। শাকিব পৌঁছালেই তিনিও পৌঁছে যাবেন। শেষপর্যন্ত যেহেতু শাকিব আর আসেননি, তাই অনুপস্থিত রইলেন অপুও।
এদিকে বিরক্ত হয়ে সাংবাদিক দুপুর ১টার পর থেকেই চলে যাবার জন্য তাড়া দিতে থাকেন। পরিচালকের আকুতি-মিনতিতে তারা পৌনে দুইটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। কিন্তু তখনও শাকিবের টিকিটিরও দেখা মিলেনি। বাধ্য হয়ে রাগ ও ক্ষোভে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন সংবাদকর্মীরা। পরে পরিচালক তাদেরকে সন্ধ্যায় আবার আসবার জন্য আমন্ত্রণ করেন। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় শাকিব আসবেই। তখন ‘মা’ ছবির মহরত হবে।’ কিন্তু সাংবাদিকরা সেখানে না আসার ঘোষণা দিয়ে বেরিয়ে আসেন এবং এফডিসিতে অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র প্রযোজক কেএম মঞ্জুরের জানাজাতে অংশ নেন।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে গণমাধ্যম, চলচ্চিত্রাঙ্গনে। সবাই শাকিবের এমন দায়িত্বহীন আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একে তো তিনি ঢাকাই ছবিতে বর্তমানে অভিজ্ঞ নায়কদের একজন, তার উপর তিনি শিল্পী সমিতির মতো গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সভাপতি। তার কাছ থেকে এমন ঘটনা অপ্রত্যাশিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র চলচ্চিত্র পরিচালক বলেন, ‘শাকিব পরিচালককে জানাতে পারতেন তার ব্যস্ততা কিংবা না আসার ব্যাপারটি। পরিচালক সকাল সকালই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করে মহরতের নতুন সময় ঠিক করে নিতে পারতেন। কিন্তু কিছুই না জানিয়ে এভাবে এতগুলো মানুষকে বসিয়ে রেখে তাদের সময় নষ্ট করাটা অন্যায়।’
এলএ