সত্যিই কি ভাঙছে মাহির সংসার?
সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর যুগ পেরিয়ে এখন চলছে কলি যুগ। তবে তথ্য প্রযুক্তির চরম উন্নতির ফলে এ যুগ ডিজিটালেরও। হাতে হাতে ফোন। নিমিষেই তথ্য চলে যাচ্ছে বাতাসে ভর করে মাইলের পর মাইল; হৃদয় থেকে হৃদয়ে। এ যুগে তথ্য ভাগাভাগির দারুণ এক মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যেখানে এ দেশের মানুষের কাছে এগিয়ে ফেসবুক।
ফেসবুক এখানে চালায় না কে! তারকারাও নিজেদের তথ্য ভাগ করে নিতে ফেসবুক ব্যবহার করেন। এগুলো ভালো দিক ডিজিটালাইজেশনের। তবে কথায় বলে না সব ভালোর পেছনেও কিছু মন্দ লুকিয়ে থাকে। তেমনি এই ফেসবুকেরও অনেক জ্বালা।
আর এসব জ্বালা সবচেয়ে বেশি পোড়ায় তারকাদের। চুন থেকে পান খসলেই ফেসবুকের স্ট্যাটাস, ছবি দিয়ে তারা খবরের শিরোনামে আসেন। যেমনটা ঘটলো দেশের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহির বেলায়।
১৬ মে মাহি তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন একটি। একা একটি ছবির সঙ্গে পোস্ট করেছিলেন, ‘প্রিয় মানুষটা / তুমি বরং সুখেই থাকো / কাছে না হয় বহু দূরে...’
ব্যাস। কাব্য পছন্দ করা মাহির এই তিন লাইনের পোস্ট নিয়েই তিনি খবরে চলে এলেন। দাবি করা হচ্ছে, স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে নাকি বিচ্ছেদ হতে চলেছে তার। এজন্যই একা ছবি দিয়ে কবিতায় ভর করে প্রকাশ করেছেন নিজের মনের বেদনা ও যাতনার কথা।
সত্যি কি তাই! বেশ কিছু খবর প্রকাশ হতে দেখা গেছে মাহির ডিভোর্স নিয়ে। তবে এ ব্যাপারে কিছুই বলেননি নায়িকা। না ফেসবুকে, না গণমাধ্যমে।
তবে চলচ্চিত্রের এক নবাগতা রাজ রিপার স্ট্যাটাস থেকে নিশ্চিত হওয়া গেল আপাতত রাকিবের সংসারেই আছেন মাহি। ১৭ মে ভোরবেলায় মাহি-রাকিব ভিডিও কলে আড্ডা দিয়েছেন রাজ রিপার সঙ্গে। সেখানে এই দম্পতিকে দেখা গেল বেশ ফুরফুরে ও রোমান্টিক মুডে।
তাই মাহির অনেক ভক্ত-অনুরাগী প্রিয় তারকার ঘর ভাঙার গুজব ছড়ানোর জন্য বেশ বিরক্ত। তারা সঠিক ও সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া এসব সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা দাবি করেছেন, রাকিবের স্ত্রী হিসেবে সুখে আছেন মাহি, ভালো আছেন মাহি।
তারকাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। দেশে দেশে সব দেশের তারকাদের বেলাতেই এক চিত্র। তাই ভক্ত-অনুরাগীদের কৌতুহল মেটাতে গণমাধ্যমগুলো তারকাদের ব্যক্তি জীবনের নানা গল্পই প্রকাশ করে। কখনো প্রকাশ হয়ে পড়ে গোপন অনেক তথ্যও। সেসবের বেশিরভাগই থাকে গুজব-গুঞ্জন।
তবে এ কথাও সত্যি, সবকিছু লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করা তারকাদের গুজব-গুঞ্জনের খবরগুলো প্রায়ই সত্যি হয়ে ধরা দেয়।
এলএ/জিকেএস