ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

নিপুণের বিরুদ্ধে জায়েদের আদালত অবমাননার বিষয়ে শুনানি ২৩ মে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:৩৭ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০২২

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসার অভিযোগে অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেছিলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ওই অভিযোগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের শুনানি পিছিয়ে আগামি ২৩ মে দিন ঠিক করেছেন আদালত।

নিপুণের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার বিষয়ে করা আবেদন শুনানির নির্ধারিত দিন সোমবার (২৫ এপ্রিল) দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও নাহিদ সুলতানা যুথি। আর নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

এর আগে গত ১৪ মার্চ আদেশে আবেদনটি চার সপ্তাহের জন্য মুলতবি রাখা হয়েছিলো (স্ট্যান্ড ওভার)। ওইদিন আদালত বলেছিলেন, এই সময়ের মধ্যে কেউ চাইলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে পারবেন।

এর আগে নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করেন জায়েদ খান। তার শুনানির জন্য গত ১৩ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় সেটি আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসে।

এর আগে ৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নিপুণের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন করা হয়।

জায়েদ খানের আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও নিপুণ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে চেয়ারে বসছেন এবং কার্যক্রম চালাচ্ছেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়েছে বলে জায়েদ খানের আইনজীবী আহসানুল করিম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও নিপুণ আক্তার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে চেয়ারে বসছেন এবং কার্যক্রম চালাচ্ছেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন জানানো হয়েছে।

এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জায়েদ খান। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন তার আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।

সেই রিটের শুনানি নিয়ে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল আবেদন জানান নিপুণ আক্তার। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি সম্পাদক পদের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া চেম্বার আদালত বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। একই সঙ্গে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নিপুণের আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। পাশাপাশি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলেও আদালত তার আদেশে জানিয়েছিলেন।

এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। তবে আপিল বিভাগের আদেশ অমান্য করে নিপুণের বিরুদ্ধে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসার অভিযোগ তোলেন জায়েদ খান। ওই রুলের ওপর শুনানি চলছে। এরপর আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রুলের বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।

গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন প্রাথমিক ফলে জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ।

আপিল বোর্ড সমাজসেবা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তর এক চিঠিতে জানায়, আপিল বোর্ড এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ড জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে।

এফএইচ/এমপি/জিকেএস