৫১ বছরে পা দিলেন বিপাশা হায়াত
বিপাশা হায়াত। দেশের শোবিজে নন্দিত এক নাম। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী। একজন গুণি নাট্যকারও। ছবিও আঁকেন নিয়মিতই। তবে টেলিভিশন, মঞ্চ, চিত্রশিল্পী ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যই বিখ্যাত তিনি।
আজ তার জন্মদিন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। এবারে ৫১ বছরে পা রাখলেন অভিনেত্রী। প্রখ্যাত অভিনেতা আবুল হায়াতের বড় কন্যা তিনি। কালের প্রবাহে তিনিও হয়ে উঠেছেন জাত শিল্পী। আশির দশকে ‘খোলা দুয়ার’ নাটকে বাবার মেয়ে হয়েই অভিনয় শুরু করেন। এরপর যুক্ত হন নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে। টিভি নাটকে প্রথমে আলোচনায় আসেন ‘অয়োময়’ ধারাবাহিক দিয়ে।
এরপর পুরো নব্বই দশকে ছিলেন শীর্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। একে একে অভিনয় করেন শঙ্কিত পদযাত্রা, রুপনগর, ছোট ছোট ঢেউ, অন্য ভুবনের ছেলেটা, চেনা অচেনা মুখ, থাকে শুধু ভালোবাসা, বীজমন্ত্র, স্পর্শ, শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই, বিপ্রতীপ, অতিথি, হার জিত, আশিক সব পারে, বিষকাঁটার মত জনপ্রিয় নাটকগুলিতে।
সেই দশকে অনেক অভিনেত্রীই লাক্সের বিজ্ঞাপন করেছিলেন। তবে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক তিনিই নিয়েছিলেন। মডেলিং জগতেও খেতাব ছিল তার। একটা সময় পর অভিনয় জগত থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। তবে যখনই ফিরে এসেছেন তখনই নিজেকে সমাদৃত করেছেন।
এর মধ্যে অন্যতম কাজ ছিল দিল দরিয়া, ইনসমনিয়া, শেষ বলে কিছু নেই, দুই বোন, হাতটা বাড়িয়ে দাও, চিনিখোর অন্যতম।
জানা যায়, নব্বই দশকের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ এ অভিনয়ের জন্য অফার পেয়েছিলেন বিপাশা। তবে বাণিজ্যিক ছবি করবেন না বলে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর দু’টি মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা ‘আগুণের পরশমনি’ ও ‘জয়যাত্রা’য় অভিনয় করেন।
অভিনয়ের বাইরে তিনি নাট্যকার। অনেক নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে শুধু তোমারেই জানি, শুকতারা, শঙখবাস, ঘাসফুল, প্রেরণা অন্যতম।
উপস্থাপক হিসেবেও সুপরিচিতি আছে তার। ‘বিপাশার অতিথি’ নামক একটা অনুষ্ঠান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। আবৃত্তি ও গানেও দক্ষ তিনি।
তার অন্য আরেকটি প্রতিভা হল তিনি একজন চিত্রশিল্পী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। বছর কয়েক আগে এসিড আক্রান্ত নারীদের সাহাযার্তে নিজের আঁকা ছবির প্রদর্শনী করেছিলেন।
বর্ণিল ক্যারিয়ারে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। সাংস্কৃতিক জীবনের মত ব্যক্তিগত জীবনটাও তার মসৃন ও পরিস্কার। তৌকির আহমেদের স্ত্রী বিপাশা হায়াত দুই সন্তানের জননী।
এলএ/এমএস