শিল্পী সমিতির নির্বাচনে যেসব বিধি নিষেধ মানতে হবে
আসছে ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এরইমধ্যে দুটি প্যানেলকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে এফডিসি। প্রতিদিন শত শত মানুষের আনাগোনায় চারদিকে যেন উৎসব।
তবে করোনা সংক্রমণের বিষয় বিবেচনা করে এফডিসিতে অবাধ যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন আজ প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, 'আজ শনিবার থেকেই আমরা অবাধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করেছি। একদিকে করোনার কারণে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কড়া নির্দেশনা রয়েছে৷ অন্যদিকে গতকাল আমরা মৌখিকভাবে একটা অভিযোগ পেয়েছি একজন প্রার্থীকে হেনস্তা করা হয়েছে।
এই কাজটা করেছেন একজন বহিরাগত। এসব কারণে আমরা বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করেছি কঠিনভাবে৷ সেইসাথে নিবন্ধিত টিভি চ্যানেল, বাছাইকৃত কাগজের পত্রিকা ও সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ১৪টি অনলাইনের সংবাদকর্মী ছাড়া আর কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।'
তিনি আরও জানান, 'নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত এফডিসিতে প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা৷ তবে এখানে কোনো প্যানেল পরিচিতি বা প্রোগ্রাম করতে পারবেন না৷ এফডিসি কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশই রয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনের দিন কোনো প্যান্ডেল বা চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে না৷ আমরা চাই শিল্পীরা ভোট দিয়ে এফডিসি ত্যাগ করবেন৷ এতে করে তারাই নিরাপদ থাকবেন। সবার নিরাপত্তা আগে।
নির্বাচনের দিন ভোটার শিল্পী ও ভোট সংশ্লিষ্টরা ছাড়া আর কেউ এফডিসির ভেতরে থাকতে পারবেন না।'
নেতিবাচক ও আক্রমণাত্মক প্রচারণার ব্যাপারে পীরজাদা হারুন বলেন, 'আমরা ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ প্যানেলের একটি গান নিয়ে আপত্তি পেয়েছি। তাদের বিপক্ষ দল জানিয়েছে গানে কিছু আপত্তিকর কথা আছে৷ সেটা আমরা কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলকে অবহিত করেছি। এরমধ্যে তারা নতুন গানও একটা বানিয়েছে। এরপরও যদি 'নোট দিয়ে ভোট কেনার দিন শেষ' গানটি বাজায় তাহলে আজ বন্ধ করে দেয়া হবে।'
কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের প্রার্থী নায়ক ইমনের উপর গতকাল এক বহিরাগতের হামলা প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'আমরা ঘটনাটি জেনেছি। ইমন, রিয়াজ, নিপুণরা এসেছিলেন। মৌখিকভাবে তা আমাদের জানিয়েছে৷ আমরা বলেছি লিখিত দিতে৷ লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।'
গেল ৪টি নির্বাচনে শাকিব খান, মৌসুমী ও ইমন; তিনজন তারকার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে কি বলবেন? উত্তরে প্রধান কমিশনার বলেন, 'এটা সত্যিই দুঃখজনক। লক্ষ করে দেখবেন প্রতিটি ঘটনাই ঘটিয়েছে বহিরাগতরা। তাই আমরা এবার বহিরাগতদের প্রবেশ কড়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি৷ এটা কেপিআইভুক্ত এলাকা৷ এখানে নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
নির্বাচন স্থগিতের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি মনে চলছি। করোনার কথা বিবেচনা করে সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করছি। এখন পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করার ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে আসেনি। যদি আসে তাহলে অবশ্যই সরকারের নির্দেশ মেনে নেব আমরা।'
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দুই সদস্য বিএইচ নিশান ও বজলুর রশীদ চৌধুরী।
এলএ/জেআইএম