ওমরাহ মানুষের জীবনকে চেঞ্জ করে দেয়: শখ
দীর্ঘ দিন ধরে শোবিজে অনিয়মিত এক সময়ের জনপ্রিয় মুখ আনিকা কবির শখ। এবার ফের মিডিয়ার সামনে আসলেন তিনি।
১৫ নভেম্বর জাগো এফএমে লাইভ সাক্ষাৎকারে অংশ নেন অভিনেত্রী। সেখানে তিনি ব্যক্তিগত জীবনের নানা কথা বলেন। জানান বন্ধুত্ব-প্রেম, বিয়ে বিচ্ছেদ, সংসার, অভিনয় ও ধর্ম নিয়ে অনেক কথা।
সাক্ষাৎকারে সৌদি আরব যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে শখ বলেন, ২০১৬ সালের শেষ কি ২০১৭ এর শুরুর দিকে ওমরাহ হজে গিয়েছিলাম। আসলে ওমরাহটা মানুষের জীবনকে চেঞ্জ করে দেয়। এটা এমন একটা ফিলিং যা বলে বোঝাতে পারবো না। ওখানে যারা যায় তারাই বলতে পারবে। একটা অন্যরকম শান্তি সেখানে।
এর আগে ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি শখ ও নিলয় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু এর এক বছরের মাথায় ২০১৭ সালে বিচ্ছেদ হয় তাদের। এরপর জনকে জীবন সঙ্গী করেন শখ।
নিলয়ের সঙ্গে ডিভোর্স প্রসঙ্গে শখ জানান, তার পরিবার এটাকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছে। তিনি বলেন, কারণ এটার পেছনে আমারও কোনো ভুল ছিল না। বোঝাপড়া হয়নি। আমরা পারিবারিভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বোঝাপড়া হয়নি বলেই দাম্পত্যে ইতি টেনেছি।
এদিকে জনের সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি ফোটোশুটে তার সঙ্গে পরিচয়। ওর সঙ্গে প্রেম করার সময় হয়নি। সে একদিন সরাসরি আম্মুকে ফোন দিল। ওই দিনই সে আম্মুকে বললো, আমি শখকে পছন্দ করি। আমি তাকে বিয়ে করতে চাই। আম্মুও বললো আচ্ছা দেখি। এরপর দুই ফ্যামিলির সিদ্ধান্তে সরাসরি বিয়ে হয়। করোনার সময় বিয়ে হয় ঘরোয়াভাবে। তখন অনেকে বলেছিল, আমি না কি গোপনে বিয়ে করেছি। কিন্তু গোপন করার কিছু নেই। তখন ফেসবুক হ্যাকড ছিল। কারো সঙ্গে তেমন যোগাযোগ করার সুযোগ হয়নি।
‘সুখে’র সংজ্ঞা জানতে চাওয়া হলে শখ বলেন, সুখের সংজ্ঞা খুবই সিম্পল। মানুষের চাহিদা যতো কম, যতো অল্পতে সন্তুষ্ট থাকা যায়। ততোই সুখ।
সঠিক সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, সঠিক সঙ্গী খুঁজে পাওয়া আসলে কঠিন। মানুষকে কখনো পুরোপুরি চেনা যায় না। এটা সত্য কথা। কারণ তারা বহুরূপী হয়। মানুষের কখনো একটা রূপ থাকে না। তারপরও যারা সঠিক মানুষটিকে খুঁজে পায়, তারা ভাগ্যবান। আমাদের সময় কঠিন ছিল। কারণ অনেক ভিড়ের মাঝে সেই একজনকে খুঁজে পাওয়া। তবে একসময় সঠিক মানুষ বের হয়ে আসে। খুঁজে নিতে হয় না, চলেই আসে।
নিজের জীবনের ভুলগুলো নিয়ে আক্ষেপ নেই বলে জানান শখ। বলেন, মানুষ জীবনের ভুল থেকে শেখে। আমি লাইফের প্রত্যেকটা ভুল থেকে শিখেছি।
জেডএইচ/এএসএম