ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলে ওটিটিতে নিয়মিতই কাজ করবো: নাদিয়া আহমেদ

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০২১

বাংলাদেশের টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ। অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন নৃত্যশিল্পীও বটে। ১৯৮৬ সালে বিটিভি শিশু অনুষ্ঠান শিশুমেলা দিয়ে তার টিভির অভিষেক ঘটে।

অভিষেকের পর থেকে অসংখ্যা নাটকে অভিনয় করেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য নাটক হলো-দূরের মানুষ, নীল রংয়ের গল্প, ওরা বখাটে, অল্প স্বল্প গল্প, ব্লাইডনেস , ওরা বখাটে, আয়নাঘর, বাবুই পাখির বাসা, চাইল্ডহুড লাভ, বকুলপুর ইত্যাদি।

সম্প্রতি শফিকুর রহমান শান্তনুর রচনায় ও সোহেল রানা ইমনের পরিচালনায় তিনি কাজ করছেন নতুন ধারাবাহিক ‘অদল বদল’ নিয়ে। মাছরাঙ্গা টেলিভেশনে প্রচারের অপেক্ষায় থাকা নতুন নাটকটি নিয়ে জাগো নিউজের মুখোমুখি নাদিয়া। লিখেছেন জয়া-

জাগো নিউজ : কেমন আছেন?
নাদিয়া : আলহামদুলিল্লাহ, ভালো। করোনাকালীন সময়টা পেরিয়ে মুক্ত হয়ে চলতে ফিরতে পারা যাচ্ছে, কাজ করতে পারছি, ভালো লাগছে।

জাগো নিউজ : আপনার নতুন ধারাবাহিক ‘অদল বদল’ আসছে। নাটকটি নিয়ে জানতে চাই-
নাদিয়া : নাটকটি মূলত তিন ভাইয়ের এক বোনকে নিয়ে। তারা ডাকাত বংশের সন্তান। কিন্তু এখন ডাকাতি করে না। পূর্ব পুরুষরা ডাকাতি করতো তাই গ্রামের মানুষদের মাঝে প্রভাবটা রয়ে গেছে।

jagonews24

এদিকে জাহিদ হাসানের চরিত্রটি অনেকটা টাউট, বাটপার ধরনের। সে কথার মাধ্যমে মানুষের মাঝে প্যাচ লাগায়। এ নিয়ে বিজলি যে চরিত্রটি আমি করেছি খুবই চিন্তিত। তার সঙ্গে একটা সময় গিয়ে রিলেশন হয়। বেশ মজার একটি গল্প। গ্রামীন প্রেক্ষাপটের।

জাগো নিউজ : আপনার বিজলির চরিত্রটি কেমন?
নাদিয়া : বিজলি প্রাণবন্ত মেয়ে। তিন ভাইয়ের একমাত্র বোন সে। তাই বড়ই আদরের। অতিরিক্ত আদরের কারণে তার ভুলগুলোও ভাইয়েরা মাফ করে দেয়। কোনো ভাই বিয়ে করেননি। বোনকে বিয়ে দিয়ে তারা বিয়ে করবে বলে। কিন্তু ডাকাত বংশ শুনলে কেউ আর বিয়া করতে চায় না।

এদিকে বিজলি ভালোবাসে হাশেম (জাহিদ হাসান) নামের একজনকে। হাশেমকে আবার ভাইদের পছন্দ না। বিয়ের জন্য পাত্র না পেলেও তারা হাশেমের সাথে বিয়ে দেবেন না। এমনিতে বিজলি তার ভাইদের শাসন করে। কিন্তু নিজের ভালোবাসার কথা ভাইদের বলতে অস্বস্তি বোধ করে।

জাগো নিউজ : জাহিদ হাসান ভাইয়ের সঙ্গে কাজের অনেক অভিজ্ঞতা আছে আপনার। নতুন এই নাটকে কাজের কিছু অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চাই-
নাদিয়া : জাহিদ ভাইয়ের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। তিনি তার কো-আর্টিস্টদের সাথে খুবই বিনয়ী। কীভাবে করলে ভালো হবে, কোনো ভুল হলে দেখিয়ে দেওয়া, সাহায্য করা, জটিল বিষয়গুলো সহজ করে বুঝিয়ে দেয়া; এসব তিনি সবসময়ই করেন। তার সাথে কাজ করা অনেক আরামের। ভালো লাগাও কাজ করে। জাহিদ ভাই একজন বন্ধুবৎসল মানুষ। সবকিছু মিলিয়ে জাহিদ ভাইয়ের সাথে কাজ করা মানে একজন বড় ভাই ও বন্ধুর সাথে কাজ করা।

জাগো নিউজ : এই নাটকটি থেকে দর্শকরা কি উপভোগ করবে?
নাদিয়া : চরিত্রগুলো উপভোগ্য। দর্শক এনজয় করবে বলে আশা করি। এখানে জাহিদ ভাইকে ডাবল রোল প্লে করতে দেখা যাবে। একজনকে ভেজাল লাগানো চরিত্রে দেখা যাবে। আরেকজন জাহিদ হাসানকে দেখা যাবে যার ভিন্ন একটি গল্প রয়েছে। একটি চরিত্র অন্য চরিত্র থেকে সম্পূর্ন উল্টো। দুইজন দুই গ্রামের। তাদের দুজনের পার্থক্যকে ঘিরেই গল্প হবে এবং একসাথে দুটি গল্প চলবে। সেখান থেকেই নাটকের নাম ‘অদল বদল’। এ বিষয়টাও দর্শক এনজয় করবেন বলে মনে হয়।

jagonews24

তাছাড়া জাহিদ ভাই হলেন কমেডির রাজা। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে শুরু করে নানা রকম গল্পে তিনি বৈচিত্রময় চরিত্রে দর্শকের মন ভরিয়েছেন। দীর্ঘদিন কাজ করছেন। এখনো তার অভিনয় দর্শককে আনন্দ দেয়। তার উপস্থিতি দর্শক উপভোগ করেন।

জাগো নিউজ : শুটিং কি শেষ?
নাদিয়া : না। কয়েক লটে হবে শুটিং। সম্প্রতি পুবাইলের হাসনাহেনাতে শুটিং করেছি। ঢাকার কিছু জায়গাতেও শুটিং হবে।

জাগো নিউজ : ‘অদল বদল’ ছাড়া নতুন আর কি কাজ করা হচ্ছে?
নাদিয়া : এই মাসেই কায়সার আহমেদের নতুন একটি সিরিয়ালে কাজ করার কথা রয়েছে। স্ক্রিপ্ট হাতে পেলেই ৯ তারিখ থেকে শুটিংয়ে যাবো হয়তো। গত দুই বছরে দর্শকদের থেকে বেশি ভালোবাসা পেয়েছি ‘বকুলপুর’ নাটকের জন্য। করোনার কারণে ধারাবাহিকটি বন্ধ ছিল। আবারও এর শুটিং শুরু হচ্ছে। শিগগিরই যোগ দেবো আমিও। নাটকটি সম্ভবত ‘বকুলপুর রিটার্নস’ নামে আসবে এবার।

এছাড়া দর্শক আমাকে ‘একজন আদর্শ প্রেমিক’ ও ‘ড. কদম আলী এমবিবিএস’ নামের দুটি নাটকেও দেখতে পাবেন। সম্প্রতি এ দুটো কাজ শেষ করেছি।

জাগো নিউজ : এখন তো ওটিটির জন্য প্রচুর কাজ হচ্ছে। সময়ের নতুন প্লাটফর্মে কাজ করা নিয়ে আপনার ভাবনা জানতে চাই-
নাদিয়া: গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলে অবশ্যই কাজ করতে চাই। শিল্পীদের সবসময়ই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করতে হয়। ওটিটি তো সময়ের দাবি। এরই মধ্যে তানিম পারভেজের পরিচালনায় ‘ঘোলা’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করা হয়েছে। সিরিজটি ভালোই আলোচনায় এসেছিলো। ওয়েবের কাজগুলোর মধ্যে একটা ফিল্মি আমেজ থাকে। এটা ভালো লাগে।

এলএ/এমএস

আরও পড়ুন