কমিটমেন্ট যাদের নেই তারা ব্যক্তিত্বহীন : আসিফ
দেশের সংগীতাঙ্গনের যুবরাজ বলা হয় তাকে। সংগীতশিল্পী হিসেবে তার জনপ্রিয়তাও আকাশচুম্বী। রাজনীতির ময়দানে এবং সমাজসেবায়ও জুড়ি নেই তার। ক্রিকেট নিয়েও রয়েছে তার মাথা ব্যাথা। বলছি জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের কথা।
গেলো বিপিএলে বরিশালের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর ছিলেন আসিফ। কিন্তু বিপিএলে নিজের কুমিল্লার দল থাকা সত্ত্বেও কেন বরিশালের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর আসিফ এটা নিয়ে চলছে সমালোচনা। অনেকটা চটে গিয়ে বিরক্ত হয়ে কুমিল্লা ক্লাবের মেম্বারশীপ ছাড়েন এ শিল্পী। কিন্তু কেন? জানা গেল আসিফের ভেরিফায়েড ফেসবুক ফ্যান পেজে। আসিফ তার স্ট্যাটাসে লিখেন...
``নড়াইলের সন্তান মাশরাফী কুমিল্লার ক্যাপ্টেন, শ্রীলঙ্কান সাঙ্গাকারা ঢাকার, মাগুরার সাকিব রংপুরের, বগুড়ার মুশফিক এবং পাকিস্তানের আফ্রিদি সিলেটের, ময়মনসিংহের মাহমুদুল্লাহ বরিশালের, একমাত্র লোকাল ক্যাপ্টেন ছিলো চট্টগ্রামের তামিম। বাংলাদেশের কোচ হাতুরুসিংহে নিশ্চয়ই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলা হলে তার দেশের পক্ষ নেবে না!!!
খেলাতে ইমোশনের সূযোগ নেই, এখানে পেশাদারিত্ব এবং কমিটমেন্ট মুখ্য। কুমিল্লার ফ্র্যাঞ্জাইজি নিশ্চিত হওয়ার আগেই আমি বরিশাল বুলসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছি। দল গঠন থেকে শুরু করে সব কর্মকাণ্ডে আমি ছিলাম সম্পৃক্ত, বুলসের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর। কমিটমেন্ট যাদের নেই তারা ব্যক্তিত্বহীন। কমিটমেন্ট রক্ষা করতেই আমি বরিশালের সমর্থক ছিলাম। আবার এটাও বলেছি বিজয় উৎসব হলে আমি থাকবো, যে দলই চ্যাম্পিয়ন হউক। বুলস এর দুই মালিকের নানাবাড়ি কুমিল্লায়।
কুমিল্লার মানুষের তো ভালো লাগার কথা- তাদের ছেলে বরিশালের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর। ক্রীড়াসুলভ মানসিকতা নিয়েই খেলতে হবে, খেলা উপভোগ করতে হবে। আমি কুমিল্লা ক্লাবের মেম্বারশীপ ছাড়তে বাধ্য হয়েছি বিরক্ত হয়ে, সেখানে বরিশাল ক্লাব আমাকে দিয়েছে-আজীবন সদস্যপদ। দেশে বিদেশে আমি কুমিল্লার প্রতিনিধিত্ব করছি রসমলাই আর খদ্দরের মতই।
তারপরও হীনমন্যতায় ভোগা কুমিল্লার কিছু মানুষের প্রতি সত্যিই করুণা হয়। কারো কাছে আমার কুমিল্লা প্রেম শিখতে হবে না । সামাজিক যোগাযোগা মাধ্যমে অসামাজিক লোক ঢুকে গেছে ভিক্ষার চাল কাঁড়া আকাঁড়ার মত।``
এনই/আরআইপি