একটা সময় সিডিউল দিতে পারতাম না, এখন বেকার: নাসরিন
সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘লাভ’ ছবির মধ্য দিয়ে ১৯৯২ সালে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেন অভিনেত্রী নাসরিন আক্তার। নৃত্য সহশিল্পী হিসেবে যাত্রাটা শুরু হলেও দেশের প্রথম সারির অনেক নায়কের বিপরীতেও অভিনয় করেছেন তিনি। কৌতুক অভিনেতা দিলদারের নায়িকা হিসেবে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
তার দাবি, দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এখন তাকে সিনেমা অঙ্গনে খুব একটা দেখা যায় না। কেমন আছেন কি কাজ করছেন এ বিষয় জানতে তার সঙ্গে আজ কথা হয়।
কেমন আছেন জানতে চাইলে নাসরিন বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।’
কাজের খবর জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “একদম কাজ নেই। মোস্তাফিজুর রহমান মানিক ভাইয়ের পরিচালনায় ‘আনন্দ অশ্রু’ সিনেমায় কাজ করছি, যা আর দু-একদিন করলেই পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। তারপর আর কোনো কাজ নেই। বেকার।”
‘একটা সময় ছিল সিডিউল দেয়া নিয়ে আতঙ্কে থাকতাম। চারদিকে কাজ আর কাজ। সিডিউল দিতে পারতাম না সবাইকে। কত কথা শুনতে হয়েছে। কতজনের রাগ ভাঙাতে হয়েছে। এখন এমন দিন এলো না খেয়ে থাকার উপক্রম। তার ওপর করোনার যন্ত্রণা যোগ হয়েছে’- বললেন নাসরিন।
তিনি মনে করেন এফডিসির সিনিয়র পরিচালকরা সিনেমায় অনিয়মিত হওয়ার কারণেই তার মতো সিনিয়র শিল্পীরাও কাজ পাচ্ছেন না। এখন নতুন পরিচালকদের সময় যাচ্ছে। প্রচুর কাজ হচ্ছে। কিন্তু এ পরিচালকদের সঙ্গে তার মতো আগেকার শিল্পীদের পরিচয়-জানাশোনা নেই। অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘আমরা নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে চাই বেশি বেশি। তাদের সঙ্গে মিলেমিশে নতুন করে ইন্ডাস্ট্রিতে সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে চাই। সমস্যা হলো নতুন পরিচালকরা আমাদের এড়িয়ে চলে। গুণের চেয়ে গ্ল্যামার আর বন্ধু সম্পর্ককে বেশি গুরুত্ব দেয়।
তারা মনে করেন আমাদের নিয়ে কাজ করলে ইচ্ছেমতো ‘তুই তুমি’ বলা যায় না। কাজ ছাড়া কোনো আড্ডায় পাওয়া যায় না।
নাসরিন নতুন পরিচালকদের সঙ্গে কাজের আরও একটি সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘বর্তমান সময়ের পরিচালকদের আরেকটা সমস্যা হলো তারা মনে করে তাদের মতো আর কেউ কাজ করতে জানে না। তারাই সব জানে ও বোঝে। ভীষণ অহংকারী। তারা সম্মানও দিতে চায় না সিনিয়র শিল্পীদের। কেমন যেন সবাই। এসবের জন্য আরও কাজ করতে মন চায় না।’
আলোচনার সূত্রে তুললেন শিল্পী সমিতি ও আগামীর নির্বাচন প্রসঙ্গ। এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাকে কয়েকজন বলছে নির্বাচন করতে। আমি করবো না। শরীর ভালো না আমার। সবাইকে বলছি যে আমি নির্বাচন করতে চাই না।’
এমআই/এলএ/এএসএম