ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

পরীমনির রিমান্ডের বৈধতা চ্যালেঞ্জ: শুনানির অপেক্ষা বুধবার পর্যন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২১

চিত্রনায়িকা পরীমনিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের করা আবেদন শুনানির জন্য আগামী বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছেন হাইকোর্ট।

পরীমণির রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া আবেদন শুনানির জন্য রোববার (২৯ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে তোলা হলে আদালত আগামী বুধবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।

বিষয়টি অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান উপস্থাপন করলে আদালত বলেন, পরীমনির জামিন নিয়ে আমরা রুল দিয়েছি। আগামী ১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানির জন্য আসুক, পরে দেখা যাবে।

এর আগে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের স্বপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করা হয়। আবেদনে পরীমনিকে রিমান্ডে নেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায় না মানার অভিযোগ আনা হয়।

রোববার (২৯ আগস্ট) আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী নিজে।

গত ৫ আগস্ট পরীমনি ও তার সহযোগীকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বনানী থানার মামলায় তাদের প্রথম দফায় চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ রিমান্ড শেষে ১০ আগস্ট পরীমনি ও তার সহযোগী দিপুর দ্বিতীয় দফায় দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে আরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ৪ আগস্ট ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে’ অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এরপর তাকে র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে করে বনানী থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় র‌্যাবের টিম।

এরপর র‌্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। তিনি বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।

পরীমনি ২০১৪ সালে সিনেমা জগতে আসেন। এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও পাঁচ-সাতটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। প্রযোজক রাজ তাকে পিরোজপুর থেকে ঢাকায় সিনেমা জগতে নিয়ে আসেন।

পরীমনির তিন দফায় জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে নাগরিক সমাজসহ নানা মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলে এ বিষয়ে সিআইডির প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথমত অভিযুক্ত পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা ও তার বক্তব্য শোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আসলে অভিযুক্ত কী বলে সেটা আগে জানতে চেয়েছে সিআইডি। তার কাছে মাদক কীভাবে আসল, কারা দিলো, কী উপায়ে আসলো। এসব তথ্য জানার পর আমরা কিন্তু আর পরীমনিকে রিমান্ড চাইনি। কিন্তু তদন্ত ও যাচাই করতে গিয়ে দেখি পরীমনির দেয়া সেসব তথ্যের অনেক কিছুই মিথ্যা বা ভুল। তখন আমরা আদালতে আবারও রিমান্ড চেয়ে অনুরোধ করি।’

‘আদালত একদিনের রিমান্ড দেন। সিআইডি একটি বিশেষায়িত ইউনিট। আমরা কখনো দরকার না হলে কোনো আসামির রিমান্ড চাই না। আমরা ওই একদিনের মধ্যে পরীমনির দেয়া তথ্য যাচাই করি। পুলিশ রিপোর্টের পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করতে তিন দফায় পরীমনিকে রিমান্ডে নেয়া হয়।’

এফএইচ/এমআরআর/জেআইএম