ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

নীল ময়ূরের যৌবন

প্রকাশিত: ০৫:৩৭ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

আমরা বাঙালি জাতি যে মাতৃভাষায় কথা বলছি তার জন্য করতে হয়েছে অনেক সংগ্রাম, সইতে হয়েছে শোষণ নির্যাতন, দিতে হয়েছে  প্রাণ। মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার এই সংগ্রাম শুরু ৫২`র ফেব্রুয়ারিতে নয় আজ থেকে ১২০০ বছর আগে চর্যাপদের সময় থেকে। বর্তমানে শোষণের ধরনে পরিবর্তন আসলেও হয়নি এর মাত্রার পরিবর্তন। কাহিনী ও চরিত্র একই আছে, পরিবর্তন হয়েছে শুধু কুশীলব আর রঙ্গশালার...এমনই কাহিনী ধারণ করে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্চায়িত হয়েছে নাটক `নীল ময়ূরের যৌবন`।

Sust-pic
সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চায়িত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য সংগঠন `দিক থিয়েটার`। নাটকটি রচনা করেছেন সেলিনা হোসেন। নাট্যরূপ দিয়েছেন সুনন্দ বাশার, নির্দেশনা দিয়েছেন বিজিত চক্রবর্তী পলাশ এবং পুনঃনির্দেশনা দিয়েছেন সুর্পণ্য মৌ। নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুর্পণ্য মৌ, আসাদুজ্জামান নয়ন, মুশফিক ভুূইয়া, খন্দকার মাহমুদুল হাসান, জোহান জাকারিয়া, রনি তালুকদার, সানজিদা হাসান, নওশাবা মোহনা, জগদীপ দাশ তনু, জুই দাশ প্রমুখ ।

`পুরাতন জরাজীণর্কে ধারণ করে নয়, নতুনত্বকে বরণ করার মাধ্যমেই আমরা নাটকটি মঞ্চায়িত করার চেষ্টা করেছি। জানালেন নির্দেশক বিজিত চক্রবর্তী পলাশ।

Sust-pic
শাবি ক্যাম্পাসের অন্যতম নাট্য সংগঠন দিক থিয়েটার। আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে এর যাত্রা শুরু। এরই মধ্যে চারটি নাট্য উৎসব, যুগ পূর্তি উৎসব, চ্যারিটি উৎসব, নিয়মিত পথ নাটক প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে থিয়েটারের কর্মীরা। ইতোমধ্যে সংগঠনটি ২৩টি নাটক প্রযোজনা এবং ৮০টি নাটকের সফল মঞ্চায়ন করতে পেরেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হল কৃতদাসের হাসি, রাজদর্শন, বিসর্জন, সুবচন নির্বাসনে, কবর, শিখন্ডি কথা।

Sust-pic
দিক থিয়েটারের সভাপতি আসাদুজ্জামন নয়ন বলেন, আমরা নানা প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও নাটকের মাধ্যমে সমাজের অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদ করে চলেছি। নাটক জীবনের কথা বলে, নাটক সমাজের দর্পণ, তাই হাতে হাত রেখে আমরা ক্যাম্পাসে সাম্যের প্রচার করে থাকি, থাকি ভালো কাজের সঙ্গে।

Sust-pic
দিক থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক ভূঁইয়া জানান, দিক গর্ব করে তার কর্মীদের নিয়ে। কর্মীদের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের ফলে দিক এগিয়ে চলছে আপোষহীনভাবে। সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হল নাটক। আর সেই হাতিয়ারের ধারক হচ্ছে নাট্যকর্মীরা। এ বিশ্বাস নিয়েই দিকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের পথচলা।

এসএস/আরআইপি