স্ত্রীদের বয়স ৩৩ হলেই কেন ভেঙে যায় টম ক্রুজের সংসার?
কখনো উড়োজাহাজের চাকা ধরে ঝুলছেন, আবার কখনো উঁচু ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিচ্ছেন। সিনেমায় এসব দৃশ্যের কথা ভাবলেই চোখে ভাসে বয়সকে হার মানানো সুদর্শন এক দুর্দান্ত অভিনেতার চেহারা। তিনি টম ক্রুজ। রুপালি পর্দায় যার কাছে ইম্পসিবল বলে কিছুই নেই।
‘এন্ডলেস লাভ’ এবং ‘ট্যাপস’ চলচ্চিত্রে সহকারী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেছিলেন হলিউডের এই সুপারস্টার। এরপরের গল্প সবার জানা। দুরন্ত- দুর্দান্ত এই মানুষটির ভক্ত পুরো দুনিয়ে জুড়ে। সিনেমায় তার প্রাপ্তির কোনো শেষ নেই।
তবে ব্যক্তি জীবনটা টম সিনেমার মতো সাফল্য পেয়েছেন কি? এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠে আসে, তৈরি হয় সংশয়। কিছুটা কাকতালীয় ব্যপারও রয়েছ তার জীবনে। এই পর্যন্ত ৩বার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে তার। না এটা কাকতালীয় কিছু নয়। কাকতালীয় বা রহস্যময় বিষয়টি হলো বিবাহবিচ্ছেদের সময় তার তিন স্ত্রীরই বয়সই ছিল ৩৩!
মিমি রজারস
১৯৮৭ সালে টম ক্রুজ প্রথম বিয়ে করেন মিমি রজারসকে। বয়সে মিমি ছিলেন টমের চেয়ে ৭ বছরের বড়। সে সংসার টেকেনি বেশিদিন। বিয়ের মাত্র দুই বছর পরেই বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। সে বিচ্ছেদের সময় মিমির বয়স ছিল ৩৩।
নিকোল কিডম্যান
প্রথম বিয়ের ৩ বছর পর ১৯৯০ সালে বিশ্বখ্যাত অভিনেত্রী নিকোল কিডম্যানের সঙ্গে ঘর বাঁধেন টম ক্রুজ। ২৩ বছর বয়সী নিকোলে কিডম্যানকে বিয়ে করে ইসাবেলা জেন ও কনর এনটনি নামে দুটি সন্তানও দত্তক নেন তারা। দীর্ঘ এক দশক সংসার করার পর ২০০১ সালে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। আর সে সময় নিকোলের বয়স ৩৩।
কেটি হোমস
২০০৬ সলে ইতালির একটি প্রাসাদে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুন্দরী অভিনেত্রী কোটি হোমসকে বিয়ে করেন টম ক্রুজ। ২৭ বছর বয়সী কেটির বিপরীতে তখন টমের বয়স ৪৪। সুরি নামে একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে তাদের। তবে সংসারের সময়কাল এবার ২০১২ সাল অব্দি। সে বছরের সালের আগস্টে ডিভোর্স হয় তাদের। আর বিচ্ছেদের সময় কেটির বয়স সেই ৩৩!
এলএ/এমকেএইচ