ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

বিতর্কিত ওয়েব সিরিজ নিয়ন্ত্রণে নীতিমালার নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২১

বিতর্কিত ওয়েব সিরিজ হই চই, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, বঙ্গবিডিসহ ভার্চুয়াল ওটিটি (ওভার দ্যা টপ) মাধ্যম থেকে অশ্লীলতা রোধ, রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত এবং এসব প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে খসড়া নীতিমালা তৈরিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী তিন মাসের মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিটিআরসি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের খসড়া নীতিমালার কপি দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানিতে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলেমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. তানভীর আহমেদ।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আজকে আদালতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং সাইবার পুলিশ সেন্টার থেকে দুটি প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। যেখানে বিটিআরসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে তাদের কোনো রাজস্ব আদায় হয় না। কোনো ধরনের রেগুলেশন না থাকায় সেটি আদায় হচ্ছে না। একইভাবে সাইবার পুলিশ সেন্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং পর্নোগ্রাফি আইন থাকলেও প্ল্যাটফর্ম থেকে অশ্লীলতা রোধে সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা নাই। যার ফলে সব সময় সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারেন না।

তানভীর আহমেদ আরও বলেন, যদি এই ধরনের একটা নীতিমালা হয় তাহলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সুবিধা হবে। এসব বিষয়ে বিবেচনায় নিয়ে আদালত একটি খসড়া নীতিমালা করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত ও অশ্লীল ওয়েব সিরিজ থেকে অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইনবহির্ভূত ভিডিওগুলো সরিয়ে ফেলতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা এবং গাফিলতিতে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওয়েব সিরিজের মনিটরিংয়ের জন্য কেন একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে না, রুলে তাও জানতে চান আদালত। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এছাড়া নেটফ্লিক্সের মতো অন্যান্য ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে কীভাবে সরকারি রেভিনিউ সংগ্রহ করেন তা এক মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। ওই দিন বিটিআরসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টারকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

এর আগে গত ১৫ জুলাই ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে (ওটিটি প্ল্যাটফর্ম) ছড়িয়ে পড়া ওয়েব সিরিজের অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইন বহির্ভূত ভিডিওর অংশগুলো সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এসবের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এরও আগে ২০২০ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশি ওয়েব সিরিজের বিতর্কিত অংশ বাদ দিতে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। সে নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে তিনি গত ১২ জুলাই হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

এফএইচ/এমএইচআর/এসজে/এমএস/জেআইএম