পড়া হয়নি অনুভূতি, কষ্ট পেয়ে কাঁদলেন নায়িকা সুচন্দা
বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদার স্বীকৃতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। প্রতি বছর চলচ্চিত্রের নানা বিভাগে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দেয়া হয়। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য দেয়া আজীবন সম্মাননা।
২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক সোহেল রানা ও কোহিনুর আক্তার সুচন্দা।
আজ ১৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পদক বিতরণ অনুষ্ঠান। এ আয়োজনে সোহেল রানা সশরীরে হাজির হয়ে সম্মাননা পদক গ্রহণ করলেও হাজির হতে পারেননি জহির রায়হানের সহধর্মিণী অভিনেত্রী সুচন্দা।
তার পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন মেয়ে লিসা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রীর ছোট ছেলে তপু রায়হানও।
জানা গেছে, নিজে উপস্থিত হতে পারেননি বলে ছেলে ও মেয়ের হাতে সুচন্দা দিয়েছিলেন একটি চিঠি। যেখানে লিখে দিয়েছিলেন নিজের অনুভূতির কথা। চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবনার কথা।
কিন্তু সেটা পড়া হয়নি অনুষ্ঠানে সময় স্বল্পতার কারণে। তাই সুচন্দা কষ্ট পেয়েছেন। তিনি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন বিষয়টি নিয়ে।
কান্নামাখা কণ্ঠে সুচন্দা বলেন, ‘আমার অনুভূতি পাঠ করা হলো না। আমি যে কেন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলাম না সেটা জানতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। জানতে পারেননি দর্শকরাও। বিষয়টা আমাকে কষ্ট দিয়েছে। এটা আমার কাছে অপমানের। আমার ছেলে-মেয়েও সেখানে গিয়ে অপমানিত হলো। একটু কী সময় দেয়া যেত না তাদের অনুভূতিটা পড়ে শোনানোর জন্য। অথচ অন্যজন এতো কথা বললেন। চলচ্চিত্র নিয়ে আমারও তো অনেক কথা বলার ছিল।’
‘আয়োজনের সঙ্গে যারা ছিলেন তারা আমাকে কেন এমন অপমান করলেন’- প্রশ্ন ছুড়েছেন ‘জীবন থেকে নেয়া’র নায়িকা সুচন্দা।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি অসুস্থ এটা পুরস্কার প্রদানের সঙ্গে জড়িত যারা তারা জানেন। গত সপ্তাহেই আমার বাইপাস হয়েছে। তাদের জানিয়েছিলাম যে আমি চিঠির মাধ্যমে অনুভূতি জানাবো। তাদের সেই চিঠি আগে আগে দেখিয়েও নিয়েছি। আয়োজকরা আমাকে কয়েকবার লেখা ঠিক করে সেটাে এক পাতার মধ্যে শেষ করতে বলেছিলেন। সেভাবেই আমি লেখাটি তৈরি করেছিলাম। কিন্তু পড়াই হলো না।’
এদিকে এবারের আসরে নিমন্ত্রণই পাননি সুচন্দার ছোট বোন আরেক অভিনেত্রী ববিতা। ২০১৮ সালে এমন আসরেই প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার নিয়েছেন ববিতা। বোনের সঙ্গে এমন আচরণও মেনে নিতে পারছেন না সুচন্দা।
এলএ/এমএস