ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

৫০ বছরে পা দিলেন দুই বাংলা মাতানো ঋতুপর্ণা

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:৩২ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০২০

ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কাজ করেছেন তিনি বাংলা ও হিন্দি সিনেমায়। দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে মুগ্ধ করে রেখেছেন দর্শক। তার অভিনয়ের মুগ্ধতার ঢেউ ভাসিয়েছে বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমীদেরও।

আজ এ নায়িকার জন্মদিন। এবারে তিনি ৫০ বছরে পা রাখলেন। রাত ১২টার পর থেকেই ভক্ত ও কাছের মানুষদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হয়ে উঠেছে ‘ঋতুময়’।

বর্তমানে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন ঋতুপর্ণা। সেখানে স্বামী-সন্তান নিয়ে করোনার পুরো লকডাউন কাটিয়েছেন।

ঋতুপর্ণার জন্ম কলকাতায়। খুব অল্পবয়সেই চিত্রাংশু নামে একটি শিল্পবিদ্যালয় থেকে অঙ্কন, নৃত্য ও হাতের কাজে দক্ষতা অর্জন করেন। মাউন্ট কারমেল স্কুলে তার পড়াশোনা। পরে লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক হয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাবিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ভর্তি হন। তবে অভিনয় পেশায় মনোযোগ দেবার জন্য পড়াশোনায় ইতি টানতে হয়।

১৯৮৯ সালে কুশল চক্রবর্তীর বিপরীতে বাংলা ধারাবাহিক ‘শ্বেত কপোত’ দিয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর অভিনয় জীবনের শুরু।তার অভিনীত প্রথম সিনেমা প্রভাত রায়ের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ‘শ্বেতপাথরের থালা’। এটি মুক্তি পায় ১৯৯২ সালে। এরপর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য সুপারহিট ও কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

আশির দশকের তাপস পাল থেকে শুরু করে বহু নায়কের বিপরীতেই কাজ করে সাফল্য পেয়েছেন ঋতু। তবে কলকাতার সিনেমার ‘বুম্বাদা’খ্যাত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দারুণ সফল জুটি গড়ে তুলেছিলেন ঋতুপর্ণা। সর্বশেষ তাদের ‘প্রাক্তন’ সিনেমাটিও দর্শকের হৃদয় ছুঁয়েছে।

ঋতুপর্ণা কাজ করেছেন বাংলাদেশি সিনেমাতেও। এখানে তিনি পেয়েছেন আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা। তার অভিনীত প্রথম বাংলাদেশী ছবি ‘স্বামী কেন আসামী’ মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে। এপারে তার সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা হিসেবে অভিহিত করা হয় ‘সাগরিকা’, ‘রাঙাবউ’-কে।

বাংলাদেশে ঋতু অভিনয় করেছেন মান্না, ফেরদৌস, আমিন খান, হেলাল খান, রিয়াজ, আরিফিন শুভ’র মতো জনপ্রিয় সব নায়কদের বিপরীতে।

সর্বশেষ বাংলাদেশে ‘জ্যাম’ সিনেমায় অভিনয় করতে এসেছিলেন ঋতুপর্ণা। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন ফেরদৌস। চিত্রনায়ক মান্নার প্রযোজনা সংস্থা কৃতাঞ্জলী চলচ্চিত্র থেকে নির্মিত হচ্ছে নতুন সিনেমাটি। পরিচালনা করছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল।

এলএ/এমএস

আরও পড়ুন