ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

ঋত্বিক ঘটকের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ০৩:০৪ এএম, ০৪ নভেম্বর ২০১৫

নন্দিত চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক কুমার ঘটকের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ বুধবার। খুব অল্পসময়ে পৃথিবী বিখ্যাত এ চলচ্চিত্রকার ৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং ছয়টি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন।

১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি । বাবার নাম সুরেশ চন্দ্র ঘটক, মা ইন্দুবালা দেবী। পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই শিল্প-সাহিত্যের চর্চা ছিল। বাবা সুরেশ চন্দ্র ঘটক একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হলেও কবিতা ও নাটক লিখতেন।

খ্যাতিমান লেখক মনীশ ঘটক ছিলেন ঋত্বিকের বড় ভাই। ঋত্বিক ঘটক ১৯৪৬ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৮ সালে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে এমএ কোর্স শেষ করলেও পরীক্ষাটা আর দেয়া হয়ে ওঠেনি তার।

স্কুল জীবন থেকেই যুক্ত ছিলেন শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে। ১৯৫১ সালে ঋত্বিক ঘটক ভারতীয় গণনাট্য সংঘে (IPTA) যোগ দেন। এ সময় তিনি অনেক নাটক লেখেন, অভিনয় করেন ও নির্দেশনা দেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হল- জ্বালা, অফিসার, দলিল, সাঁকো, সেই মেয়ে ইত্যাদি। এ সময় তার বেশকিছু লেখা গল্প ও নাটকের রিভিউ সে সময়ের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

ঋত্বিক ঘটকের প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ ‘নাগরিক’। ১৯৫২ সালে নির্মিত এ ছবিটি তার জীবদ্দশায় মুক্তি পায়নি। প্রথম ছবি নির্মাণের পাঁচ বছর পর ১৯৫৭ সালে ঋত্বিক ঘটক নির্মাণ করেন ‘অযান্ত্রিক’। এটিই ঋত্বিকের মুক্তি পাওয়া প্রথম ছবি। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চমকে যায় চলচ্চিত্র বোদ্ধা আর দর্শকেরা। সফল চলচ্চিত্রকার হিসেবে তিনি খ্যাতি লাভ করেন।

এরপর ঋত্বিক নির্মাণ করেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’ (১৯৬০) ‘কোমল গান্ধার’ (১৯৬১) ও ‘সুবর্ণরেখা’ (১৯৬৫)। ১৯৬৫ সালে সুবর্ণরেখা মুক্তি পাবার পর আট বছরের বিরতি নিয়ে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এসে নির্মাণ করেন তার বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। এটি বাংলাদেশ- ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়। অদ্বৈত মল্লবর্মণের ধ্রুপদ উপন্যাস থেকে নেওয়া এ ছবিটি পেয়েছিল ব্যাপক প্রশংসা। এরপর ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় ঋত্বিকের শেষ ছবি ‘যুক্তিতক্ক আর গপ্পো’। কাহিনীর ছলে তিনি নিজের কথা বলে গেছেন এ ছবিতে। ছবিটিতে নিজের রাজনৈতিক মতবাদকেও দ্বিধাহীনভাবে প্রকাশ করেছেন। এরপরই ঋত্বিক ঘটক মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। প্রায় তিন বছর মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মানসিক ভারসাম্য হারানো অবস্থাতেই এই কৃতি চলচ্চিত্রকার ১৯৭৬-এর ৬ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৫০ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন।

১৯৬৯ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৭৫ সালে ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ কাহিনীর জন্য ভারতের জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন।

জেডএইচ/আরআইপি