স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৬ অক্টোবর থেকে খুলছে সিনেমা হল
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি আর না হলে আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে সিনেমা হলগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলবে। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সঙ্গে বৈঠকের পর তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সিনেমা হল খোলার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। আগস্ট মাসের শুরুর দিকে একবার বসেছিলাম। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত ছিল ১৫ সেপ্টেম্বরের পর বৈঠক করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। সেই মর্মে আজ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনা করে আমরা যে ঐকমত্যে উপনীত হয়েছি সেটি হচ্ছে, যদি করোনা পরিস্থিতি এখন যে পর্যায়ে আছে, ট্রেন্ডটা যদি কমতির দিকে থাকে, তাহলে আমরা ১৬ অক্টোবর থেকে সিনেমা হল খুলতে পারি। তবে এ ব্যাপারে আমরা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণ করব।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সিনেমা হল খুললে সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক দর্শক নিয়ে সিনেমা হলগুলো চালু হবে এবং সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কীভাবে আসন বিন্যাস হবে সেটা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। সেভাবেই আসন বিন্যাস করতে হবে।’
‘আমরা আজ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও যদি করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয় সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত ভিন্নতর হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিনোদনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। যাত্রী পরিবহনের আগে যে বিধিনিষেধ ছিল সেটিও তুলে দেয়া হয়েছে। সাধারণ সময়ে যেভাবে যাত্রী পরিবহন হতো এখন ঠিক সেভাবেই যাত্রী পরিবহন হচ্ছে।’
সিনেমার সঙ্গে বহু শিল্পী, কলাকুশলীসহ বহু মানুষের কর্মসংস্থান যুক্ত— জানিয়ে হাছান মাহমদু বলেন, ‘সেই বিবেচনায় যেহেতু বিনোদনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়েছে, পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে, সে কারণে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।’
একসময় বাংলাদেশে এক হাজার ২০০টি সিনেমা হল ছিল জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কমতে কমতে এখন ২০০-২৫০ এ সীমাবদ্ধ হয়েছে। সিনেমা হলগুলো এই শিল্পের প্রাণ। হল না থাকলে সিনেমা বানিয়ে সেটি প্রদর্শনের জায়গা থাকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলগুলো পুনরায় চালু করা, সিনেমা হলগুলোর আধুনিকায়ন এবং নতুন সিনেমা হল কেউ নির্মাণ করতে চাইলে স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদী একটি বিশেষ তহবিল গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদন চেয়েছিলাম, প্রধানমন্ত্রী বিশেষ তহবিল গঠনের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছেন।’
আরএমএম/এফআর/এমএআর/এমকেএইচ