বসুন্ধরায় বন্ধ স্টার সিনেপ্লেক্স, ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া
ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল সিনেমা থিয়েটার স্টার সিনেপ্লেক্স। ২০০৪ সালে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের ৮ তলায় ৬টি হল নিয়ে যাত্রা করে স্টার সিনেপ্লেক্স। সব কটি হল মিলিয়ে একসঙ্গে ১ হাজার ৬০০ দর্শক ছবি দেখার সুযোগ পেতেন। সেটি এখন আর থাকছে না।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) এই খবর নিশ্চিত করেছে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, বসুন্ধরার পক্ষ থেকে নোটিশ দেয়া হয়েছে অতিদ্রুত সিনেপ্লেক্সের জায়গাটি খালি করে দেয়ার জন্য।
স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহাবুব রহমান গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রতি মাসে অনেক ভাড়া গুনতে হয় স্টার সিনেপ্লেক্সটি চালু রাখতে। করোনার জন্য পাঁচ মাস ধরে সব বন্ধ ছিলো। ব্যবসা নেই। ব্যবসা না হলে ভাড়া দেয়া সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে বসুন্ধরা ও স্টার সিনেপ্লেক্সের মধ্যে অনেক আলোচনা হলেও কোনো লাভ হয়নি কিছু। বাধ্য হয়ে বসুন্ধরা থেকে সরে যেতে হচ্ছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বন্ধ সিনেমা হল চালুর ব্যাপারে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এমন আশা জাগানিয়া ঘোষণার সময় স্টার সিনেপ্লেক্স বন্ধ হওয়ার খবরটি ঢাকা শহরের সিনেমাপ্রেমীদের হতাশ করেছে। স্টার সিনেপ্লেক্স বন্ধের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ, আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা। সে তালিকায় সাধারণ দর্শকের পাশাপাশি রয়েছেন সিনেমা, নাটক, সংগীত, শিল্প সংস্কৃতিকর্মীসহ নানা পেশার ব্যক্তিরা। কেউই বসুন্ধরা সিটিতে সিনেপ্লেক্স বন্ধ হয়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না।
তারা বিষয়টি বিবেচনার জন্য বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। স্টার সিনেপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের জন্যও লাভজনক বলে উল্লেখ করে তারা ভাড়া কমানো বা মওকুফ করতে অনুরোধ করছেন। অনেকে আবার স্টার সিনেপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে যেন তারা আলোচনা করেন।
কেউ কেউ এমন পরামর্শ দিচ্ছেন, অন্য শাখাগুলো বসুন্ধরা সিটি শাখার তুলনায় কম জনপ্রিয়। প্রয়োজনে সেগুলো বন্ধ রেখে হলেও যেন বসুন্ধরায় চালু রাখা হয় স্টার সিনেপ্লেক্স।
এলএ/এসআর