ভয়ঙ্কর গ্যাং লেগেছে এ আর রহমানের পেছনে
তার হাত ধরেই সংগীতে অস্কার জিতেছে ভারত। সেদেশের সংগীতাঙ্গনে তাকে দেখা হয় সর্বোচ্চ সম্মানের চোখে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তার গানে বুঁদ হয়ে আছে কোটি কোটি শ্রোতা। ‘দিল সে’, ‘রোজা’, ‘গুরু’, ‘দিল্লি-৬’, ‘তামাশা’, ‘রকস্টার’-এর মতো একাধিক হিন্দি ছবিতে দুর্দান্ত সব গান এর আগে উপহার দিয়েছেন রহমান।
হিন্দি ছাড়াও তামিল, তেলেগুসহ নানা ভাষার গান তিনি করেছেন। বিশেষ করে সিনেমায় এ আর রহমানের গান মানেই দারুণ কিছুর প্রত্যাশা।
সর্বশেষ সুশান্ত সিং রাজপুতের অভিনীত শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’-তেও গান দিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তিনি। সুশান্তের জন্য একটা আগ্রহ তো ছিলোই সবার। তবে ‘দিল বেচারা’-র অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন এ আর রহমানও। এ ছবির গানগুলো তারই তৈরি করা। ছবি দেখার পর সবাই যে প্রত্যাশা অনুযায়ী তৃপ্তি পেয়েছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে নানা রকম রিভিউ পড়ে। ছবি শেষে সবাই নাকি মনে মনে গুন গুন করছেন ‘ম্যায় তুমহারা’ গানটি।
এ আর রহমানকে এখন আর সেভাবে বলিউডের ছবির জন্য গান কম্পোজ করতে দেখা যায় না। তামিল ছবিতেই বেশি কাজ করন তিনি। রেডিও মির্চির সাক্ষাৎকারে এ আর রহমানকে প্রশ্ন করা হয়, কেন তিনি আর সেভাবে বলিউডের জন্য মিউজিক কম্পোজ করেন না? উত্তরে রহমান জানান, ‘আমি কখনোই ভাল ছবিতে কাজ করার অফারকে না বলি না। কিন্তু আমার মনে হয় কোনো ভয়ঙ্কর গ্যাং রয়েছে যারা অনেক ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। তারাই আমাকে নিয়ে মিথ্যে গুজব ছড়াচ্ছে। আমি বলিউডে কোনঠাসা হয়ে আছি।’
‘দিল বেচারা’ ছবির কাজ নিয়ে রহমান জানান, ‘ছবির পরিচালক মুকেশ ছাবড়া যখন আমার কাছে আসেন তখন দু’দিনের মধ্যেই চারটি গান কম্পোজ করে দিই। মুকেশ তখন আমাকে জানান, আপনার সম্পর্কে তো অনেকেই অনেক কিছু এতদিন বলেছিলেন। বেশিরাই পরামর্শ দিয়েছিলেন আপনার কাছে না যেতে। একাধিক গল্প শুনিয়েছেন তারা আমাকে। মুকেশের কথা শুনেই বুঝতে পারি কেন আমার কাছে আর বলিউডের বেশি কাজ আসে না।’
এই সংগীতজ্ঞ আরও বলেন, ‘কোনো এক গোষ্ঠী কাজ করছে আমার পেছনে। আমি ভালো থাকি চায় না তারা। যাদের জন্য হয়তো আমি কাজ বেশি পাচ্ছি না বলিউডে। তবে আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। আমি অন্য অনেক কাজ করছি। ভালো আছি। কিন্তু সবাইকে বলছি সুন্দর ছবি বানান এবং আমার কাছে আপনাদের সবাইকে সবসময়ই স্বাগত।’
এলএ/এমকেএইচ