মোদি সরকার পশ্চিমবাংলায় করোনা এনেছে, বললেন সোহম
চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না ভারতের। এরইমধ্যে বিশ্ব রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এ দুই দেশের যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব দেখে৷ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে চিনকে কোনঠাসা করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
তার অংশ হিসেবে চিনের বেশ কিছু অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা শুরু হয়েছে দেশটির ভেতরে। অনেকেই চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা নিয়ে বিকল্প পথ সন্ধান করার জন্য বলছেন।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরাত জাহান এ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তবে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি সমর্থন জানিয়েছেন টিকটক ব্যান করার সিদ্ধান্তকে।
এবার নুসরাতের সুরেই সুর মিলিয়ে অভিনেতা তথা তৃণমূল যুবশক্তির রাজ্য কো-অর্ডিনেটর সোহম চক্রবর্তীর মন্তব্য, চিন নোংরা রাজনীতি করেছে। গোটা বিশ্ব তাদের জন্য সংকটে। তার বিরোধিতা করতেই হবে। কিন্তু, কিছু অ্যাপ বন্ধ করলেই কি ভারতীয় সৈন্যরা যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রাণ ফিরে আসবে? তাই তিনি বিকল্প পথ সন্ধান করার জন্য দাবি তুলেছেন।
এর পাশাপাশি মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই পশ্চিমবঙ্গে করোনা চলে এসেছে বলেও কটাক্ষ করলেন অভিনেতা সোহম। তিনি বলেছেন, 'সারা পৃথিবী এখন করোনা সংকটে ভুগছে। কিন্তু ৬ বছর আগে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই টার্গেট করেছে বাংলাকে। আর ‘সেইসব করোনার’ বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।'
বাংলার যুবশক্তির কর্মসূচিতে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে এসে যুবশক্তির সদস্যদের নিয়ে সভা করেন সোহম চক্রবর্তী। সেখানেই চিনা এসব প্রসঙ্গে কথা বললেন তিনি। যুবকর্মীদের উদ্দেশে সোহম জানিয়েও দিয়েছেন যে, কোনোভাবেই তারা যাতে ব্যক্তিস্বার্থকে দলের ঊর্দ্ধে না আনেন। তিনি এও স্মরণ করিয়ে দেন যে, যিনি বিরোধিতা করছেন তিনি মনে করবেন যে স্বয়ং মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করছেন।
এলএ/পিআর