সলিল চৌধুরীর গান নিয়ে দুই দেশের ১২ জন মিউজিশিয়ান
‘ও আলোর পথযাত্রী, এ যে রাত্রী, এখানে থেমো না।' উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব সলিল চৌধুরীর এই উদ্দীপনামূলক গণসঙ্গীতটি শোনেনি, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না।
‘ঘুম ভাঙার গান’ এ্যালবামের এই গানটি রচিত হয়েছিল ১৯৪৯ সালে। কাল অতিক্রম করা এই গানটি আজও বিপদে-সংকটে আলোর পথ দেখায়, থেমে না পড়ার অনুপ্রেরণা জোগায়।
আজ বিশ্বব্যাপি সবাই করোনা আতঙ্কে গৃহবন্দি। অনেক মানুষ ইতিমধ্যেই কাজ হারিয়েছেন। ফুরিয়ে আসছে সঞ্চয়। গৃহবন্দি এই পাথর-সময়ে ‘ও আলোর পথযাত্রী, এ যে রাত্রী, এখানে থেমো না’ গানের সুর নতুন করে সাহস জোগায়। নির্বিকল্প ও অনবদ্য এই গানের সুর নতুন কম্পোজিশনে ইন্সট্রুমেন্টাল ভার্সন উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতের ১২ জন মিউজিশিয়ান।
তারা হলেন, রাহুল চ্যাটার্জি, স্নেহাশীষ মজুমদার, মোরশেদ খান, পেয়ারু খান, কাজী অরিন্দম, সৌম্যজ্যোতি ঘোষ, গোপা দে সরকার, তাপস রায়, ফুয়াদ নাসের বাবু, সম্রাট বোস, ওয়ালটার দিয়াস ও রকেট মন্ডল।
গানটির সুর নতুনভাবে কম্পোজিশন করেছেন ভারতের মিউজিশিয়ান ও কম্পোজার রকেট মন্ডল।
ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার রকেট মন্ডল বলেন, 'দাদার গানে প্রেরণাদায়ক বিষয় রয়েছে। চলমান এই লকডাউনের ফলে আমরা অনেকেই চাকরি হারানো এবং হতাশাগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা করতে শুরু করেছি। ফলে এই গানটির কথাই বারবার মনে আসে আমার।'
তিনি আরও বলেন, 'গানের ইন্সট্রুমেন্টাল ভার্সন ভারত এবং বাংলাদেশ থেকে সবাই মিলে এটি রেকর্ড করেছিলেন। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল এমন একজন শিল্পীর সাথে কাজ করার। তার গানের লিরিক্যাল মান রয়েছে এবং এখনও প্রাসঙ্গিক। এত বছর পরও সেই একই আবেদন রয়েছে।'
বাংলাদেশের খ্যাতিমান সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক ফুয়াদ নাসের বাবু বলেন, 'আমাকে কাজটির বিষয়ে যখন বলা হয় রাজি হয়ে যাই। বাংলা গানের ইতিহাসে একটি সমৃদ্ধ গান এটি। বলা মাত্রই আমি পিয়ানো নিয়ে বসে পড়ি। শ্রোতারাই কাজটি পছন্দ করবেন আশা করি।'
গানটি আজ ৭ জুন রাতে জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত হবে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার এবং গল্পকার সলিল চৌধুরী। তিনি বাংলা, হিন্দি, এবং মালায়লাম চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। আধুনিক বাংলা গানের সুরস্রষ্টা হিসেবে এবং গণসঙ্গীতের প্রণেতা হিসেবে একজন স্মরণীয় বাঙালি।
এলএ/এমএস