ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

কেউ রাখেনা চার শতাধিক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী রেহানা জলির খোঁজ

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:২২ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২০

কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ সিনেমায় বুলবুল আহমেদের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় পথচলা শুরু করেছিলেন রেহানা জলি। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ‘গোলমাল’, ‘মহারানী’, ‘চেতনা’, ‘বিরাজ বৌ’, ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’সহ ৪০টি সিনেমায় নায়িকা হয়েছেন।

প্রথম সিনেমাতে অভিনয় করেই শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি । প্রথম মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন ‘প্রথম প্রেম’ সিনেমায়। ৩৫ বছরের ক্যারিয়ারে চিত্রনায়ক আলমগীর, রাজ্জাক, ইলিয়াস কাঞ্চন, ওমর সানী, মান্না, সালমান শাহ, মৌসুমী, শাবনূর, পপি, শাকিব খান, সাইমন ও বাপ্পীর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

সবচেয়ে বেশি শাকিব খানের মা হিসেবে পর্দায় দেখা গেছে তাকে। আজ সেই মায়ের খোঁজ কেউ রাখে না কেউ। এভাবেই অভিমান প্রকাশ করলেন রেহানা জলি।

কয়েক বছর আগে প্রথমে মেরুদণ্ডের হাড়ের সমস্যা ধরা পড়ে তার। এর পরপরই চিকিৎসক রেহানা জলিকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন। এরপর তার ফুসফুসে ক্যানসারের জীবাণু পাওয়া যায়। শুরুর দিকে ফুসফুস ও হাড়ের চিকিৎসায় মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে অনুদান পেয়েছিলেন জলি। তা দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন।

এরপর থেকে কয়েক বছর থেকে বাড়িতেই বসে আছেন এই অভিনেত্রী। চলচ্চিত্রের এত মানুষের সঙ্গে এক সময় দিন পার করেছেন শুটিং করে। আজ কারও সঙ্গে দেখা হয় না তার। এই দূর্দিনে কেউ তার খোঁজ নেয় না। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দাঁড়ায় না কেউ। স্বামী-সংসার নেই। বর্তমানে বোন লাইজুর সঙ্গে ইস্কাটনের গাউসনগর এলাকায় থাকেন তিনি।

জলি বলেন, ‘গত এক বছরে কেউ একটাবারের জন্যও আমার খোঁজ নিলো না। কেউ একজন তো ফোন করে অন্তত জিজ্ঞেস করতে পারত, জলি আপা, কেমন আছেন? করোনার কারণে আরো দুর্ভোগ বেড়েছে। কি করবো, বুঝে উঠতে পারছি না। কেউ খোঁজ নেয় না। সাহায্যের জন্যও এগিয়ে আসে না। আমার বোনটা ছিল বলে এখনো বেঁচে আছি।’

গেন্ডারিয়ার মনিজা রহমান গার্লস স্কুলে ক্লাস নাইনে পড়াকালীন, স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন। হঠাৎ ১৯৮৫ সালে সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পান। এরপর চলচ্চিত্র নিয়েই ৩৫ বছর কেটে গেছে তার। প্রায় চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন জলি।

এমএবি/জেআইএম

আরও পড়ুন