অসুস্থ হওয়ার গুজব, অস্ট্রেলিয়া থেকে দোয়া চাইলেন শাবনূর
সার বিশ্বে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াতে ৫৩৫০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের।
দেশটিতে অনেক বাংলাদেশির বাস। সিডনিতে ছেলে ও ভাইবোনের সঙ্গে থাকেন বাংলাদেশের নন্দিত অভিনেত্রী শাবনূর। গেল দুই দিন ধরে ফেসবুকে কে বা কারা ছড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন শাবনূর। তবে এই প্রতিবেদকের কাছে খবরটি সম্পূর্ণই গুজব বলে দাবি করেন এই অভিনেত্রী।
তিনি ৩ এপ্রিল দুপুরে জাগো নিউজকে বলেন, 'এখন এসব গুজব ছড়ানোর সময় নয়। নিশ্চিত না হয়ে কারো অসুস্থতার খবরই জানানো উচিত নয়। এখন সবার জন্য সবার দোয়া করার সময়।'
শাবনূর বলেন, 'কতক্ষণ ভালো থাকা যাবে তা জানিনা, তবে আমি এবং আমার পরিবারের সবাই এখন পর্যন্ত ভালো আছি। গৃহবন্দী হয়ে আছি। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছি না। এক সপ্তাহের বাজার একবারে করে নিয়ে আসছি। এখানে আমার অনেক আত্মীয়রা থাকেন। নিজেদের লোকজন ছাড়া কেউ কারো বাড়িতে যাচ্ছি না।
তবু ভয়ে আছি। কারণ অস্ট্রেলিয়ায় দিন দিন করোনার সংক্রমণ বাড়ছেই।'
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অভিনেত্রী আরও বলেন, 'দেশের জন্য খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া এত উন্নত দেশ, এত ভাল চিকিৎসা এখানে। কেউ একটু অসুস্থ হলে এম্বুলেন্স এসে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। উন্নত চিকিৎসা দিচ্ছে। তবু আতঙ্ক চারদিকে। অথচ আমাদের দেশে এত এত সংকটের মধ্যেও লোকজন খাম খেয়ালি করছে করোনা নিয়ে। টিভিতে চোখ রেখে দেশের খবর দেখলেই মন খারাপ হচ্ছে। ভয় লাগছে।
অনেকে চিকিৎসা পাচ্ছে না। পরীক্ষাই করা যাচ্ছে না করোনার। সন্দেহ নিয়ে টিকিৎসা না পেয়ে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করুন। ছোটবেলায় দাদী নানির কাছে শুনতাত যে মহামারী আসতো গ্রামের পর গ্রাম উজার করে নিতো। সেই আশংকায় মন আতঙ্কিত এখন। আল্লাহ ছাড়া রক্ষা করার কেউ নেই।
সবার সাবধান হওয়া উচিত। আপনারা যারা সাংবাদিক বা যারা কাজের জন্য বাইরে যান তারা সাবধানে যাবেন। বাসায় এসেই গোসল করে নেবেন। যে পোশাকে বাইরে ছিলেন সেটা ধুয়ে নেবেন। ভাগ্যে কী আছে সেটা আল্লাহ ভালো জানেন। কিন্তু সচেতন থাকতে হবে। আমি সবার কাছে দোয়া চাই, আমার দেশ, দেশের মানুষের জন্যও দোয়া করছি আমি।'
শাবনূর জানান, ঘরে বসে নামাজ-দোয়া আর ছেলের দেখাশোনা করে দিন কাটছে তার। তবে মানসিকভাবে চাঙা থাকতে ভাইবোন ও নিকটাত্মীয়ের বাসায় যান। তারাও অনেকে আসেন তার বাসায়৷ এসময়ে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন এই অভিনেত্রী।
এলএ/জেআইএম