ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

নন্দিত শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:২১ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২০

বাংলা গানের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন এক বছর আগে। তার কণ্ঠজাদু দিয়ে কয়েক যুগ ধরে সংগীতপ্রেমীদের আচ্ছন্ন করে রেখেছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এসময় তার পাশে ছিলেন স্বামী রহমতুল্লাহ।’

২৪ মার্চ বাদ জোহর বেলা ২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বনানীর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে নন্দিত এই কণ্ঠশিল্পীকে। দেখতে দেখতে প্রিয় এই শিল্পীর চলে যাওয়ার এক বছর হয়ে গেল।

১৯৫৩ সালের ২ জানুয়ারি জন্ম নেয়া এই শিল্পী অল্প বয়সেই গায়িকা হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা করেন পাকিস্তান রেডিও ও টিভিতে। তখন তিনি শাহনাজ বেগম নামে পরিচিতি পান। দেশাত্মবোধক গানের জন্য তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ; দুই দেশেই সমাদৃত।

১৯৬৩ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ। সেই চলচ্চিত্রের নাম ছিলো ‘নতুন সুর’। এরপরের বছর ১৯৬৪ সালে প্রথম টেলিভিশনে গান করেন শাহনাজ। এরপর ধীরে ধীরে তিনি শ্রোতাদের কাছে পরিচিতি বাড়তে থাকে তার।

শাহনাজ রহমতুল্লাহর পিতার নাম এম ফজলুল হক ও মাতার নাম আসিয়া হক। শাহনাজের ভাই আনোয়ার পারভেজ সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক এবং আরেক ভাই জাফর ইকবাল ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও গায়ক।

শাহনাজ রহমতুল্লাহ ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৭৩ সালে আবুল বাশার রহমতুল্লাহর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির এক কন্যা ও এক পুত্র রয়েছে, তারা হলেন নাহিদ রহমতউল্লাহ এবং একেএম সায়েফ রহমতউল্লাহ।

শাহনাজ রহমতুল্লাহর গাওয়া গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘আমায় যদি প্রশ্ন করে’, ‘সাগরের তীর থেকে’, ‘পারি না ভুলে যেতে’, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’, ‘যে ছিলো দৃষ্টির সীমানায়’, ‘আমি তো আমার গল্প বলেছি’, ‘আরও কিছু দাও না’, ‘এই জীবনের মঞ্চে মোরা কেউবা কাঁদি কেউবা হাসি’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ ইত্যাদি।

তিনি ১৯৯২ সালে একুশে পদক পান শাহনাজ রহমতুল্লাহ। ১৯৯০ সালে ‘ছুটির ফাঁদে’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

এমএবি/জেআইএম

আরও পড়ুন