দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন শাবনূরের স্বামী, ছয় বছর ধরেই চলছে কলহ
প্রায় চার বছর আগেই শাবনূরের স্বামী অনিক আরও একটি বিয়ে করেছেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম আয়েশা। শাবনূরের সংসার ভাঙার খবর সামনে আসতে না আসতেই জানা গেছে এমন তথ্য।
বিশেষ এক সূত্র জানিয়েছে, ছেলে জন্মের পর ২০১৪ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হয়ে শাবনূরের। তখন থেকেই তারা আলাদা থাকেন। নায়িকার অভিযোগ, প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরতে তার স্বামী অনিক। ঠিক মতো শাবনূরের খোঁজ খবরও রাখতেন না। এসব কারণেই দাম্পত্য কলহ চলছিলো তাদের।
জানা গেছে, এরমধ্যেই শাবনূরকে না জানিয়ে গোপনে অন্য সম্পর্ক গড়ে তোলেন অনিক। কয়েক বছর আগে আয়েশা নামের সেই বান্ধবীকে বিয়েও করেছেন অনিক। বিষয়টি শাবনূরকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে বলে দাবি করছেন এ নায়িকার ঘনিষ্ঠজনরা।
বুধবার (৪ মার্চ) সকালে ডিভোর্স ও দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারে জানতে শাবনূরের স্বামী অনিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বারবার কল কেটে দেন তিনি। তার বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনিও সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন। পরে আবারও যোগাযোগ করলে তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ডিভোর্সের ব্যাপারে নিরব রয়েছেন চিত্রনায়িকা শাবনূরও। তিনি বর্তমানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানকার নাম্বারে কল দিয়ে সেটি বারবার বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। সেই সংসারে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। এই সন্তানের জন্মের পর অনিকের মধ্যে নানা পরিবর্তন লক্ষ করেন বলে অভিযোগ করেছেন শাবনূর।
স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গত ২৬ জানুয়ারি অনিককে তালাক দিয়েছেন শাবনূর। নায়িকার সই করা নোটিশটি এডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
শাবনূরের পাঠানো তালাক নোটিশের অনুলিপি তার স্বামী অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। এই তালাক নোটিশে সাক্ষী রয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামে দুজন। আইনগতভাবে ৯০ দিন পর তাদের এই তালাক কার্যকর হবে।
এমএবি/এলএ/পিআর