ইন্ডাস্ট্রির কথা ভেবেই নকল ছবিতে কাজ করি
দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করে চললেও কিং খান হিসেবে শাকিবের উত্থানটা ২০১০ সালের দিকে। তারপর থেকে ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক তিনি। বলা হয়ে থাকে তিনিই ইন্ডাস্ট্রি। তাকে ঘিরেই এখানে টাকা লগ্নি হয়; ব্যবসার বীজ বুনেন প্রযোজক-হল মালিকরা। অনেক নতুন মুখ আসে আবার হারিয়েও যাচ্ছে। কিন্তু শাকিব বহাল তবিয়তে রাজার আসনে বসে আছেন বাংলা ছবির নায়কদের রাজত্বে। এই যে চলচ্চিত্রের মন্দার বাজার তবুও তিনি আশা জাগাতে পারেন। এটাই শাকিবের সবচেয়ে বড় বাহাদুরি। হয়তো অনেক সমালোচনা আছে- অভিনয়ের, গল্পের, চরিত্র বাছাইয়ের, তবু তিনি হাল ধরে আছেন ইন্ডাস্ট্রির। সমসাময়িক প্রায় সব প্রবীন-নবীন নির্মাতার সাথেই কাজ করেছেন। নায়ক হয়েছেন মৌসুমী-শাবনূর থেকে শুরু করে আজকের নতুন মুখ তানহা তাসনিয়ারও। গেল কোরবানি ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার রাজাবাবু-দ্য পাওয়ার ছবিটি। স্বভাবতই এটি ঈদের সেরা ব্যবসা সফল ছবির মুকুট ছিনিয়ে নিয়েছে। দুইবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী শাকিবের আরো এক পরিচয় তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির মতো গুরু দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে ব্যাংককে রয়েছেন মেন্টাল ছবির কাজ নিয়ে। যাবার আগে তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন জাগো নিউজের-
জাগো নিউজ : ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত রাজাবাবু ছবিটির রেসপন্স কেমন ছিলো?
শাকিব : (মুচকি হেসে মাথা ঝাকিয়ে) ভালো, খুব ভালো। সারাদেশে ১৬০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিলো এ ছবিটি। এটা নতুন একটা রেকর্ড। শুনেছি এখন পর্যন্ত ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে অনেক প্রেক্ষাগৃহেই একাধিক সপ্তাহ ব্যাপি চলছে। দর্শকরা ছবিটি না দেখলে তো আর প্রেক্ষাগৃহে চলছো না! তার মানে ছবিটি ভালো ব্যবসা করছে।
জাগো নিউজ : কিন্তু রাজাবাবু ছবিটির তেলেগু ‘ধাম্মু’ ছবির নকল বলে অভিযোগ আছে...
শাকিব : আমিও এই অভিযোগটি শুনেছি। কিন্তু ধাম্মু ছবির হুবহু নকল রাজাবাবু এটার সাথে আমি একমত নই। হয়তো কিছু কিছু দৃশ্যের মিল রয়েছে। আর হুবহু মিল থাকলে কপিরাইট থাকতো। হয়তোবা ভিন্ন পাঁচটা ছবির সাথে ম্যাচ করে একটি ভালো গল্প দাঁড় করিয়ে তারপর রাজাবাবু তৈরি করা হয়েছে। নকল ছবির জন্য অনেক নিউজ হয় আমাকে নিয়ে। বলা হচ্ছে আমি বছরের সবচেয়ে বেশি নকল ছবির নায়ক। অভিমান হয় সাংবাদিক ভাইদের প্রতি। কেন তারা এমনটা লিখেন আমার জানা নেই। দেখুন, আমি বছরে সবচেয়ে বেশি ছবি করি। আর এই ইন্ডাস্ট্রিতে নব্বই ভাগ ছবিই নকলের দোষে দুষ্ট। স্বাভাবিকভাবেই সর্বাধিক নকল ছবির নায়ক হবো আমি। এটা নিয়ে লিখবার কিছু নেই। বরং, কিভাবে মৌলিক গল্পের দিকে আমরা যেতে পারি সেটা ভাবা উচিত।
জাগো নিউজ : একজন শীর্ষ নায়ক হিসেবে এ ধরনের নকল ছবিতে কাজ করাটা কি ঠিক?
শাকিব : হয়তো ঠিক নয়। কিন্তু কী করার আছে আমার। আমি একা নই। এখানে অনেক মানুষ করে খায়। যদি আমাদের হাতে ভালো গল্প না থাকে সেক্ষেত্রে এর বেশি কী আশা করতে পারি। আমি যদি কাজ করবো না বলে বসে থাকি তবে অনেকগুলো মানুষের কাজ বন্ধ হবে। অনেক পরিচালক ও প্রযোজকরা মন খারাপ করবেন। তাদের সাথে তো আমার সম্পর্কটা আত্মার। আমাকে তারাই তৈরি করেছেন। তাদের অনুরোধ আমি ফেলতে পারি না। সুতারাং এই বিষয়গুলো ভেবেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হয়। তবে আমি সবাইকে বলে দিয়েছি, আগামী বছর থেকে এসব চলবে না। মেধার অভাব নেই এই দেশে। সুযোগ দিলে অনেক গল্পকারই তৈরি হবে ফিল্মে। সেসব মেধাবীদের খুঁজে বের করে মৌলিক গল্পের ছবি দর্শকদের উপহার দিতে হবে। একটি দৃশ্যও নকল হলে আমি আর কাজ করবো না। কারণ, এসব অভিযোগের দায়টা শেষ পর্যন্ত আমার উপরই বর্তায়। আমি কেন বছরের পর বছর এই দায় বয়ে যাবো। প্রযোজকেরা এত টাকা খরচ করে ছবি বানাতে পারেন, পরিচালকেরা অন্য দেশের ছবি দেখে তারপর গল্প লেখার মতো কষ্ট করতে পারেন, তারা নিশ্চয় মৌলিক গল্পের ব্যবস্থাটাও করতে পারবেন। ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় তো। আফটার অল, ইন্ডাস্ট্রিটার এখন সবচেয়ে বড় দুর্নাম নকল ছবির অভিযোগ। এই দুর্নাম কাটাতে হবেই।
জাগো নিউজ : আজকাল নতুন পরিচালকদের সাথে প্রচুর কাজ করতে দেখা যাচ্ছে আপনাকে। এর বিশেষ কোনো কারণ আছে?
শাকিব : বিশেষ কোনো কারণ আছে এটা বলবো না। তবে আমি সবার সাথেই কাজ করতে চাই। কিন্তু সেটা হতে হবে ভালো মানের। তাছাড়া নতুন যারা নির্মাণে আসছে এদের মধ্যে বেশিরভাগই মৌলিক গল্প নিয়ে আসছেন। আমার চরিত্রগুলোও দারুণ। একটা আরেকটা থেকে আলাদা। তাদের নির্মাণটাও বেশ ঝকঝকে। তারা অনেক পড়াশোনা করে, জেনে শুনে আসছে। কাজ করতে গিয়ে দেখেছি এরা বেশ তুখোড়।
জাগো নিউজ : তার মানে বলছেন নতুনদের সাথে আপনার অভিজ্ঞতাটা বেশ জমজমাট?
শাকিব : বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাই। তবে কেউ কেউ আছেন যাদের দেখে হতাশও হয়েছি।
জাগো নিউজ : সত্তা ছবির শুটিং দীর্ঘদিন আটকে আছে। কেন বলুন তো?
শাকিব : সত্তা ছবির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে গেল বছর। এর সত্তর ভাগ কাজ আমরা শেষ করেছি! বাকিটুকুও শেষ হয়ে যেত এতদিনে। কিন্তু ছবির নায়িকা কলকাতার পাওলি দামের জন্য সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তার শিডিউল মিলাতে পারছেন না পরিচালক কল্লোল। উনি চেষ্টা করছেন। আশা করি শিগগিরই শুটিং শুরু হবে।
জাগো নিউজ : পাওলি দামের এবারের ঢাকা সফর নিয়ে কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন হুমকি দিয়েছে যে তাকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না। শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে একজন শিল্পীর প্রবেশ নিষেধ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?
শাকিব : আসলে এ ব্যাপারটা অনেক সেনসেটিভ। যতদূর শুনেছি তাদের আন্দোলনের মূল ইস্যু ছিলো এ দেশে কোনো পর্ণস্টার প্রবেশ করতে দেবেন না। কিন্তু পাওলি তো আর সানি লিওনের মত পর্ণস্টার না! তাহলে ওর এদেশে আসতে সমস্যা কি সেটা আমার বুঝে আসে না।
জাগো নিউজ : পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী-২ এবং সম্রাট- চলতি বছরে আপনার অভিনয় করা মোস্ট আলোচিত দুটি ছবি। এগুলোর গান ও টিজারে আপনাকে ভিন্নভাবে হাজির হতে দেখা গেছে। আপনি নিজে কাকে এগিয়ে রাখবেন- ক্রিকেটার নাকি মাফিয়া ডন শাকিবকে?
শাকিব : ভালো প্রশ্ন। (একটু নড়েচড়ে বসে) আমি নিজেও এ দুটো ছবিতে খেয়াল করেছি দর্শক আমাকে টিজারে দেখেই নড়েচড়ে বসেছেন। অনেক আলোচনা হচ্ছে নতুন শাকিবকে দেখা গেছে বলে। দুটি ছবিতে ক্রিকেটার এবং মাফিয়া ডন চরিত্রে শাকিবের দুই লুক। দুটোতেই চমক পাবেন দর্শকরা। শুধু তাই না, তিশার বিপরীতে মেন্টাল ছবিটিতেও আমার চরিত্রে ভ্যারিয়েশন পাবে সবাই। এই ধরনের কাজ আমি এর আগে করিনি। একেবারে নতুন অভিনয়ের স্বাদ পাবেন দর্শকরা। আর আমার বিশ্বাস এই ছবিগুলো আমাকেও বদলে দিবে অনেক।
জাগো নিউজ : ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে অনেকেই একটু ভিন্নধারার গল্পে কাজ করতে চায়। যেখানে সাহিত্য আছে, গল্প ও অভিনয়ের গভীরতা আছে। আপনার এমন কোন ইচ্ছে হয় না?
শাকিব : অবশ্যই ইচ্ছে করে। আমি জানি আমার দর্শকরা নির্দিষ্ট একটা শ্রেণির। আমি সবার জন্যই অভিনয় করতে চাই। আমি সবার প্রিয় শাকিব হতে চাই। আর এটাই একজন অভিনেতার ক্যারিয়ারের সেরা প্রাপ্তি। তাই কিছু অভিনয় প্রধাণ ছবিতে কাজ করার ব্যাপারটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে ইদানিং। হাতে জমে থাকা ছবির কাজগুলো শেষ হলেই আমি এ নিয়ে সিরিয়াসলি ভাববো। প্রয়োজনে নিজে প্রযোজনা করবো ভালো গল্পকার ও নির্মাতাদের পাশে পেলে। আমাকে আসলে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়। অতো কিছু নিয়ে খুব বেশিদূর ভাবার সময় হয় না। অবসরে ভাবি, ব্যস্ততায় ভুলে যাই। সত্য কথা বলতে কি, অনেকের আবদার ফেলতে না পেরেই একসাথে অনেকগুলো ছবিতে কাজ করতে হয়। কিন্তু আর কতো? অনেক তো হয়েছে! অনেক অনুরোধের ঢেকি গিলেছি আর না। সিদ্ধান্ত নিয়েছি হাতে থাকার ছবির কাজ কমাবো। আগামী বছর থেকে বছরে তিনটির বেশি ছবি না করার চেষ্টা করবো। প্রয়োজনে একটি করবো যদি সেটা সেরা হয়, আমি তৃপ্ত হই। তাতে নিজেকে মূল্যায়ণের সুযোগ পাবো।
জাগো নিউজ : মূল্যায়ণের কথাই বলি। অভিযোগ আছে আপনি নিজেকে নিজেই মূল্যায়ণ করতে পারেন না। অভিনয়ের এত অভিজ্ঞতা নিয়েও আনকোরা গল্প ও চরিত্রে কাজ করতে দেখা যায়। কেন?
শাকিব : ওই যে বললাম, অনুরোধের ঢেঁকি গিলতে হয়। তবে আর বেশিদিন এরকম হবে না।
জাগো নিউজ : একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলি। কাকরাইলপাড়ায় গেলেই শোনা যায় অনেক পরিচালক আপনাকে নতুন ছবিতে চুক্তির নামে প্রযোজকদের কাছ থেকে টাকা নেয়। পরে আপনি শিডিউল দিচ্ছেন না বলে নানা রকম নিউজ করিয়ে টাকা নিয়ে পরিচালক হাওয়া হয়ে যায়। সেই ছবি আর মাঠে নামে না। এতে প্রযোজকের টাকা নষ্ট। আপনারও তো সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তাই ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া বিষয়ে আপনার আরো সর্তক হওয়া উচিত বলে মনে করেন না?
শাকিব : খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে কথা তুলেছেন। এই কথাগুলো আমার কানেও এসেছে। দেখুন, এ বিষয়টা প্রয়াত সাংবাদিক আওলাদ ভাই খুব ভালো জানতেন। অনেক পরিচালক জোর করে আমাকে টাকা দিয়ে চুক্তি করিয়ে প্রযোজকের কাছ থেকে টাকা নেয়। নিজেও মোটা অংকের সাইনিং মানি নেয়। আমি তাদের বলি যে আমার আগামী অমুক সময় পর্যন্ত শিডিউল নেই। তারা বলে কোনো সমস্যা নেই আগে চুক্তি করেন। তারপর কিছুদিন গেলে সেই পরিচালকের খোঁজ পাওয়া যায় না। এটা যারা করে তাদের উদ্দেশ্যই পয়সা কামানো, ছবি নির্মাণ নয়। তাদের আর্থিক অসচ্ছলতা এ জন্য দায়ী, আমি না। তবে এটা মোটেও ঠিক না। প্রযোজকদের এক্ষেত্রে সচেতন হওয়া জরুরি। না জেনে না বুঝে কোনো পরিচালককে আন্দাজে টাকা দেয়া উচিত নয়। আর আমার সাথেও তাদের কথা বলা ভালো। পাশাপাশি আমি নিজেও এ বিষয়ে সচেতন থাকবো। পরিচালকের শতভাগ তথ্য নিয়েই তার সাথে চুক্তিতে যাবো। যার তার সাথে কাজ করবো না।
জাগো নিউজ : অতীতে নায়কই প্রয়োজনে ভিন্ন ভিন্ন নায়িকাদের সাথে জুটি বেঁধে সফল হয়েছেন। কিন্তু অপু বিশ্বাসের বাইরে গিয়ে শাকিব এখনো কোনো সফল জুটি তৈরি করতে পারেনি। বিন্দুর সাথে এইতো প্রেম এবং পরীমনির সাথে আরো ভালোবাসবো তোমায় ছবি দুটি অনেক আলোচনার জন্ম দিলেও মুক্তির পর সেভাবে সাড়া জাগাতে পারেনি। অথচ সেগুলোর চেয়ে কম বাজেট, দুর্বল গল্প ও নির্মাণ দিয়েও অপু বিশ্বাসের সাথে লাভ ম্যারেজ এবং রাজাবাবু ঠিকই হিট। এ বিষয়টি কিভাবে দেখেন?
শাকিব : দেখুন, এইতো প্রেম এবং আরো ভালোবাসবো তোমায় ছবি দুটিকে আমি শতভাগ বাণিজ্যিক ঘরানার বলবো না। দুটোই গল্প প্রধাণ ছবি। অনেক যত্ন নিয়ে বানানো হয়েছিলো। হয়তো দর্শক আর ভালো নির্মাণের বিষয়টি ব্যাটে-বলে টাইমিং হয়নি। তবে একেবারে নিরাশও করেনি। আর সবচেয়ে বড় কথা, দর্শকরাই আসলে সেরা বিচারক। তারাই ঠিক করে দিচ্ছেন কার সাথে আমাকে মানাবে এবং কার সাথে জুটি বাঁধবো এটা ঠিক করবেন নিতান্তই দর্শকরা। তাদের জন্যই কাজ করি। আমি আর কিছু বলতে চাই না।
জাগো নিউজ : এক সাক্ষাতকারে অপু বলেছিলেন- অপু ছাড়া শাকিব ফ্লপ! দর্শকদের রায়ে তাহলে বিষয়টি তাই দাড়াচ্ছে?
শাকিব : হা হা হা হা.... (অট্ট হাসি)। অপু এমন কথা কবে বলেছে? এখানে কবি নীরব.....
জাগো নিউজ : অনেক তো হলো। এবার বলুন তো সত্যি করে বিয়েটা আপনি করছেন কবে?
শাকিব : আসলে এ নিয়ে আগামী বছর খুবই সিরিয়াস হবো। অবশ্য ফ্যামিলি থেকেই এ নিয়ে কথা চলছে এখনই। আগামী বছরেই বিয়ে করবো ইনশাল্লাহ।
জাগো নিউজ : সর্বশেষ ব্যস্ততা কি নিয়ে?
শাকিব : এই যে দেখছেন ধুমকেতু ছবির কাজ করছি। শফিক হাসানের এই ছবিটাতে আমি পরী ও তানহার বিপরীতে কাজ করেছি। খুব ভালো কাজ করেছে এরা। আশা করছি ভালো একটি ছবি হবে। আর কিছুদিনের মধ্যেই দেশের বাইরে যাবো মেন্টালের কিছু গানের দৃশ্যের শুটিং করতে। পাশাপাশি হাতে আছে রাজনীতি, রাজা ৪২০, বাজিকর ছাড়া আরো কিছু...
জাগো নিউজ : অনেক ব্যস্ততা। থাক আর সময় নিতে চাই না। সময়গুলো দারুণ কাটুক সে প্রত্যাশায় অনেক ধন্যবাদ।
শাকিব : আপনাকেও ধন্যবাদ ব্যতিক্রম সব প্রশ্ন দিয়ে আমার অনেক কিছুই মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। আমাকে অনেক বেশি সিরিয়াস হতে উৎসাহ দেয়ার জন্য। হা হা হা.... আর জাগো নিউজের পাঠকদের প্রতি অনেক ভালোবাসা। সবাই হলে গিয়ে বাংলা ছবি দেখুন। আপনারাই পারেন ছবির সোনালী বাজার ফিরিয়ে আনতে।
# আওলাদ ভাইয়ের জানাজার সময় এফডিসিতেই ছিলাম না
এলএ