শাবনূরের সঙ্গে সালমানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল : পিবিআই
সালমান শাহ ঢাকাই চলচ্চিত্রে এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়কের নাম। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে তার অভিষেক। মাত্র চার বছরের চলচ্চিত্র জীবনে তিনি উপহার দিয়েছেন ২৭টি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র।
সালমানের অধিকাংশ ছবির নায়িকা ছিলেন শাবনূর। সংখ্যায় যা ১৪টি। একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছিল এই জুটি। শুটিংয়ের সুবাদে দুজনের মধ্যে ভালো একটি সম্পর্কও গড়ে ওঠে। সে নিয়ে অনেক মুখরোচক আলোচনা হতো ফিল্মপাড়ায়।
আজ সোমবার ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ আত্মহত্যা নিয়ে দুপুরে ব্রিফিং করেছে পিবিআই। ব্রিফিংয়ে সালমান হত্যায় ঘুরে ফিরে নায়িকা শাবনূরের প্রসঙ্গ আসে। সালমানের স্ত্রী সামিরার উদ্ধৃতি দিয়ে পিবিআই জানিয়েছে, শাবনূরের সঙ্গে সালমানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল আর সালমান তাকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন। সেসব নিয়েই স্ত্রী সামিরার সঙ্গে ঝামেলা তৈরি হয়েছিলো।
ব্রিফিং এ জানানো হয়, সালমানের আত্মহত্যার আগেরদিন তার ডাবিং দেখতে এফডিসিতে গিয়েছিলেন সামিরা। ডাবিং রুমে শাবনূর ও সালমানকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেন তিনি। এতে সামিরা রাগ করে বের হয়ে যান।
ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, সামিরা শুটিংর ফ্লোর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর সালমান ও বাদল খন্দকার বাসায় চলে আসেন। বেশ কয়েকবার শাবনূর সালমানের বাসায় ফোন করেন শাবনূর। সালমান শাবনূরকে বলেন, ‘তুমি আর কখনও আমাকে ফোন করবে না।’
এছাড়া সালমানের বাসায় প্রাই নাকি আসতেন শাবনূর। আত্মহত্যার আগে সালমান শাবনূরের উপহার দেয়া টেবিল ফ্যান ভেঙে ফেলেন সালমান। সালমানকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছে পিবিআই।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহকে ঢাকার নিউ ইস্কাটন রোডের নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
এমএবি/এলএ/পিআর