সৃজিত গরুর গোস্ত খাওয়ায় খুশি হয়েছেন দেব-নুসরাত
কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি ও বাংলাদেশের মডেল এবং অভিনেত্রী মিথিলা গেল ৬ ডিসেম্বর বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর সুইজারল্যান্ড আর গ্রিসে হানিমুন কাটিয়ে সম্প্রতি নতুন বউকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমবারের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন সৃজিত মুখার্জি।
শ্বশুর বাড়ির খাবারের তালিকা প্রকাশ করে এখন তুুমুল বিতর্কের মুখে সৃজিত। ঝিরিঝিরি আলুভাজা, লইট্টা শুটকি, ডাল, কড়াইশুঁটি দিয়ে পাবদা মাছ, মুরগির ঝোল আর বাঁধাকপি দিয়ে গরুর গোশত ছিল খাবারের তালিকায়। সৃজিত মুখার্জির খাবারের তালিকাতে গরুর গোস্ত দেখে তাকে আক্রমণ করেছেন অনেকেই। প্রশংসাও করেছেন কেউ কেউ।
খুশি মনে কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক দেব সৃজিতকে ধন্যবাদ দিয়েছেন গরুর গোস্ত খাওয়ার জন্য। কলকাতার আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও তৃণমূল এমপি নুসরাত জাহানও সৃজিতের গরুর মাংস খাওয়ার জন্য ‘গুড ডান’ বলে মন্তব্য করেছেন।
সৃজিতের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘আমি আমার কষ্টার্জিত টাকায় গরুর মাংস খেলাম না কুমিরের মাংস খেলাম না অ্যাভোকাডো খেলাম সেটা তো আমার ব্যাপার।’
এদিকে হিন্দু হয়ে গরুর গোস্ত খাওয়ার জন্য সৃজিতকে হিন্দু নামের কলঙ্ক বলতেও ছাড়েননি নেটিজনরা। মন্তব্যকারীদের মোটেও ছাড় দেননি সৃজিত মুখার্জি। তাদের আক্রমণের জবাব দিয়েছেন বেশ কড়া ভাষায়। সৃজিত লিখেছেন, ‘হিন্দু ধর্ম নিয়ে কথা আপনার মতো অশিক্ষিতের মুখে বেমানান। ঋগ্বেদ, মনুস্মৃতি ও গৃহসূত্রের কিছু শ্লোক দেব খাওয়া দাওয়া নিয়ে, রোজ সকালে কান ধরে ছাদে দাঁড়িয়ে মুখস্থ করবেন। ভদ্রভাবে বোঝালাম, নয়তো মনে রাখবেন বাইশে শ্রাবণ-এর সংলাপ কিন্তু আমারই লেখা।’
বাইশে শ্রাবণ ছবির সংলাপে প্রচুর গালি ব্যবহার করেছেন সৃজিত। সেই ছবির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সমালোচকদের এক হাত নিয়েছেন তিনি। সৃজিত আরও বলেন, ‘আমি গর্বিত এবং শিক্ষিত হিন্দু, সেটা যারা নন তাদের সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক ও হাস্যকর বিয়ে নিয়ে কথা বলার সময় নাই।’
এমএবি/এলএ/এমএস